মোঃ ফুয়াদ মন্ডল, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় সুইটি আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার রাতে পৌর এলাকার দক্ষিন ভাংনাহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। গৃহবধু নিহতের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার স্বামী নাঈম (২৪) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের মা আমেনা খাতুন বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা করেছেন। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকার লোহাগাছ গ্রামের চাঁন মিয়ার পুত্র নাঈমের সাথে একই এলাকার আ: বারেকের মেয়ে সুইটি আক্তারের সাথে গত দু’বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন যাওয়ার পর থেকে নাঈম অজ্ঞাত এক নারীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে। এ নিয়ে সুইটি ও নাঈমের মধ্যে প্রায়সই ঝগড়া বিবাদ হতো। পরকিয়ার জেরে প্রায় ৬ মাস তারা আলাদা ছিল। স্থানীয় লোকজন পুনরায় তাদের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়। সম্প্রতি নাঈম পুনরায় ওই নারীর সাথে পরকিয়া সম্পর্ক গভীর করে তুলে। সোমবার রাতে সুইটি আক্তার খবর পায়, তার স্বামী নাঈম মঙ্গলবার সকালে পরকিয়া প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। এ খবরকে কেন্দ্র করে সোমবার গভীর রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে নাঈম তার স্ত্রীকে গলায় উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ব্যাপারে নাঈম জানান, আমার স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার পর আমি বাড়ী থেকে চলে যাই। পরে বাড়ীতে এসে দেখি সে ঘরের আঁড়ার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের মা আমেনা আক্তার অভিযোগ করেন, পরকিয়াজনিত কারণে সুইটিকে তার স্বামী গলায় ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলেছে। কিন্তু পুলিশ হত্যা মামলা না নিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা নিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এস.আই সৈয়দ আজিজুল হক জানান, মৃতদেহের গলায় কালো দাগের চিহ্ন পাওয়া গেলেও শরীরের অন্য কোন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।
