সোমবার ভোররাত সাড়ে ছয়টার দিকে পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিংয়ের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ বিষয়টি প্রথমে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা বিবেচনা করে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে নামে পুলিশের এই বিশেষ শাখা। পরে মিপরপুরের পল্লবীর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য সন্দেহে এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফেরারি আসামী মো. মফিজুর রহমান মামুন বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন, মাদক, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও দুটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেছে আদালত।
জানা গেছে, মামুন এক সময়ে মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন। ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত চলে যায়। সেখানে পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ১০ বছর সাজা ভোগ করেন।
কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমম্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠায় তৎপর হয়।
গ্রেপ্তার মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করতো। অপরাধজগতে তার অবস্থানকে টিকিয়ে রাখতে সম্প্রতি সে ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসে।
গ্রেপ্তারের পর মামুনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।