সুদর্শন আচার্য্য, মদন (নেত্রকোণা) ঃ নেত্রকোনা মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এ বরাদ্দকৃত ঘর বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে ঘরে বসবাসকারী মজিদা আক্তার, স্বামী আনিস মিয়া, আলপিনা আক্তার, স্বামী ইব্রাহিম, তহুরা আক্তার স্বামী আলাল, পুতুলা আক্তার স্বামী মৃত আব্দুল খালেক এদের কাছ থেকে পূর্বের ঘরের বরাদ্দকৃত মালিকরা ঘর বরাদ্দের জন্য ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রতিজনের নিকট হতে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়াছে।
ভুক্তভোগী রতন মিয়া, ছদ্দু মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া আক্তার, মুসা মিয়া, পলাশ মিয়ার নামে বরাদ্দকৃত ঘরের দলিল টাকার বিনিময়ে অন্যত্র হস্তান্তর করে।
সরেজমিনে ফতেপুর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে গিয়ে পূর্বের উপকারভোগীর ঘর মালিক কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে টাকার বিনিময়ে ক্রয় করা মজিদা বেগম জানান, পূর্বের ৮ নং ঘর মালিক রতনের নিকট হতে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে আমি ঘর কিনে বসবাস করছি, বসবাসকারি আলপিনা আক্তার জানান, আমি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে পূর্বের ২৩ নং ঘর মালিক রেজিয়া আক্তারের নিকট হতে ঘর কিনে বসবাস করছি, আমাকে ঘরের দলিল ও স্ট্যাম্প স্বাক্ষর করে দিয়েছে। ৪১নং ঘরের বসবাসকারি উতলা আক্তার (৫৫) স্বামী মৃত আব্দুল খালেক তিনি জানান, পূর্বের ঘরের মালিক স্বজল মিয়ার নিকট থেকে কিনে নেয় মুসা মিয়া, মুসা মিয়ার নিকট হতে আমি ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনে বসবাস করছি। ৩১ নং ঘরের বসবাসকারি তহুরা আক্তার স্বামী আলাল তিনি জানান, ঘরের পূর্বের মালিক পলাশের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঘর কিনে বসবাস করছি।
ঘর বিক্রির বিষয়ে গুচ্ছগ্রাম সভাপতি মুর্তজা আলী বলেন, আমি শুনতে পারলাম পূর্বের মালিকরা নাকি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, আশ্রয়ণ- প্রকল্প – ২ এর ঘর বরাদ্দ নিয়ে বিক্রয়, ঘরে না থাকা এবং ভাড়া দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। প্রমাণিত হলে উপকারভোগী বরাদ্দ বাতিল করে অন্য ভূমিহীন ও গৃহহীনকে ঘরগুলি বরাদ্দ দেওয়া হবে ।