ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোঃ লিঃ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভূূক্ত সদস্যদেরকে কমিটি থেকে পদত্যাগ ও চাকুরী হারানোর ভয় দেখিয়ে হুমকি প্রদান করছেন খনি কতৃপক্ষ। প্রাপ্ত তথ্যে জানাযায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোঃ লিঃ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন রেজি নং-রাজ-১৯৫৬ এর আওতায় প্রায় ৬৪ জন কর্মকর্তা কর্মচারী এই ইউনিয়নের আওতায় রয়েছেন। এই ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম শিকদার, সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তারা ইউনিয়নের সুষ্ঠ নির্বাচন করার লক্ষে ০৫/০৩/২০১৭ইং তারিখে কাগজাদি দাখিল এবং বিদ্যামান অবস্থা অবহিত করণ বিষয়ে আহবায়ক কমিটি/ নির্বাচন কমিটি বরাবর পত্র প্রদান করেন। শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন আপীল মামলাটিতে রায় পাওয়ার পর শ্রম দপ্তর কতৃপক্ষ রাজশাহীর সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ভোটার তালিকা প্রকাশ পূর্বক নির্বাচনটি করে দিবেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ ইউনিয়নের মোঃ দুলাল মিয়া মোঃ জাহাঙ্গীর আলম গ্যাংরা সেই নির্বাচন করতে না দিয়ে মামলা করে বাধা গ্রস্তকরেন। এর পর বড়পুকুরিয়া কতৃপক্ষ দুইপক্ষের মধ্যে কোন বিরোধ সৃষ্টি না হয় সেই জন্য ইউনিয়ন আফিসে তালা লাগিয়ে দেন। এখন পর্যন্ত তালা লাগালো রয়েছে। গত ০৯ আগষ্ট ২০১৭ ইং তারিখে বিকেল ৩টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোঃ লিঃ শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন এর মধ্যে নির্বাচন এবং সংগঠন নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি হয় তার নিরমনের জন্য একটি মিটিং হয়। ঐ দিন সংগঠন পরিচালনার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট্য একটি আহবায়ক কমিটি গঠন হয়। সেখানে খনি কতৃপক্ষ ও দলীয় নেতারা বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। তার পর শুরু হয় আবার কাদা চোড়া ছোড়ি । লেবার কোটে যে মামলা চলমান আছে তার নিস্পতি না হওয়া পর্যন্ত আহবায়ক কমিটি দায়িত্ব পালন করবেন এবং মামলা নিস্পত্তি হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই াাহবায়ক কমিটি সাধারন সভা করিয়া নির্বাচনের প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা করিবেন। এই মর্মে ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে আবুল কাশেম সিকদার, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, আব্দুর রাজ্জাক ও অপর পক্ষের মোঃ দুলাল মিয়া, ম্ঃো জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ আব্দুর নূর শাহীন স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা হওয়ার পর কাশেম শিকদারের পক্ষের ৩৩ জন র্থাড পাটির আওতায় খনিতে কর্মরত শ্রমিকদের কে ঐ ইউনিয়ন থেকে পদত্যাগ ও চাকুরি খাওয়ার হুমকি দেওয়া অভিযোগ উঠেছে খোদ খনি কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে। এ হুমকি প্রদান করেছেন ৩৩ জন খনির শ্রমিককে। এদের মধ্যে কর্মরত আছেন ড্রইবার, কারীগরী লেল্পার, আফিস পিয়ন ও অন্যন্যা পদে। অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে কয়েক জন শ্রমিক তারা বলছেন মোঃ নজমুল ডিজিএম ও মোঃ নজিবুল ম্যানেজার। তারা বেশ কয়েকজন মিলে এই শ্রমিকদেরকে পদত্যাগ করার হুমকি প্রদান করেন বলে অভিয়োগ উঠেছে। পদত্যাগ না করলে চাকুরি থাকবে না বলে জানান। এ নিয়ে শ্রমিক দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দোষ কাশেম শিকদারের সংঠন ছাড়তে হবে।