স্টাফ রিপোর্টার: ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের পরীক্ষা ও চিকিৎসায় নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ব্র্যাক, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, নারীপক্ষ নামে ছয়টি সংগঠন এবং রুচিরা তাবাচ্ছুম নাভেদ ও মোবারক হোসেন খান গত ৮ অক্টোবর এই রিট আবেদনটি করেন।
এই কমিটি পুলিশ, চিকিৎসক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের জন্য ওই সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন করবে। কমিটিতে ফৌজদারি বিচার, ফরেনসিক সাইন্স, জনস্বার্থ ও নারী অধিকার বিশেষজ্ঞদের রাখতে বলা হয়েছে। এই আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে ধর্ষণের অভিযোগকারী নারীর ‘দ্বি-অঙ্গুলি বিশিষ্ট’ পরীক্ষা কেন অকার্যকর ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে আদালত।
নারী ও মেয়েদের প্রতি বৈষম্য ও নিপীড়নমূলক ‘দ্বি-অঙ্গুলি বিশিষ্ট’ পরীক্ষা নিষিদ্ধে বিবাদিদের ব্যর্থতাকে কেন সংবিধানে ঘোষিত মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছে আদালত।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শককে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ব্যারিস্টার আকমল হোসেন, অ্যাডভোকেট অবন্তী নুরুল ও মেহজাবিন রাব্বানী আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার।