দিনাজপর প্রতিনিধি : দিনাজপুরে চামড়া নিয়ে চরম লোকসানে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চামড়ার মোকাম দিনাজপুর শহরের রামনগর চামড়ার হাট। সেখানে চামড়া কেনাবেচায় ধবস নেমেছে।মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। মোটা অংকের টাকা লোকসান গুনছেন তারা। গরু’র বড় চামড়া বিক্রি হয়েছে আড়াই’শ থেকে ৩শ টাকায়। খাসির চামড়া ১০ থেকে ২০টাকায়।
দিনাজপুর,ঠাকুরগাও,পঞ্চগড়,নীলফামারী ও জয়পুর হাটের মৌসুমী ব্যবসায়ী ও চামড়া ব্যবসায়ীরা দিনাজপুরের রামনগর হাটে চামড়া বিক্রি করে থাকেন। ঈদের দিন থেকেই রামনগর হাট জমজমাট। এবারে লবনযুক্ত চামড়া দাম নির্ধারন হওয়ায আড়তদাররা পানির দামে চামড়া কিনছেন। বড় গরুর চামড়া আড়াই থেকে ৩শ টাকায় কিনছেন। আর খাসির চামড়া ১০ থেকে ২০টাকায়।মৌসুমী ব্যবসায়ীরা প্রতিটি চামড়া আকার ভেদে ৩ থেকে ৪শ টাকায় কিনেছেন।গাড়ি ভাড়া সহ অন্যান্য খরচ দিয়ে তারা লোকশানের মুখে পড়েছেন।চামড়া নিয়ে এখন তারা বিপাকে পড়েছেন।আরতদাররা বলছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা না বুঝে বেশি দামে চামড়া কিনলে তার দায় আরতদারদের নয়।
এদিকে টেনারি মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া টাকা না পাওয়ায চামড়া কিনতে আরতদাররা খুব একটা আগ্রহী নয়।তারা ধার দেনা করে চামড়া কিনছেন। টেনারী মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া ও এই চামড়ার টাকা পাবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর চামড়া মালিক সমিতি সভাপতি স্বপন।।এবারে চামড়া কেনা বেচায় অনাগ্রহ থাকায় কিছু চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তিনি এই চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অন্যদিকে,দিনাজপুর সীমান্ত বেষ্টিত জেলা হওয়ায চামড়া পাচারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে,আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কঠোর নজরদারিতে রেখেছেন,যাতে চামড়া পাচার না হয়।