ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ ছাতকে বাড়ির সীমানা নিয়ে দু’পরে সংঘর্ষে পুলিশ, মহিলা ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ৪জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গনেশপুর গ্রামের সুহেল মাহমুদ ও হাজী মখলিছ আলী পদ্বয়ের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দফায়-দফায় সংঘর্ষে উভয় প ভাঙ্গা পাথর, কাঁচের বোতল, আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। সংঘর্ষ চলাকালে ৮-১০ রাউন্ড গুলি বর্ষনের শব্দ শুনা যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় এক বিভীশিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিেেপর কারনে থানা-পুলিশকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এ সময় পুলিশ ৬ রাউন্ড টিআরসেল নিপে করে। স্থানীয়রা জানান, ৪-৫দিন পূর্বে সুহেল মাহমুদের ভূমির সীমানা পিলার হাজী মখলিছ আলী পরে লোকজন উপড়ে ফেললে উভয় পরে মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সংঘর্ষে রূপ নেয়ার আগেই স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় সালিশ বৈঠকে নিস্পত্তির চেষ্টা চালানো হয়। শুক্রবার রাতে আকস্মিক কয়েকটি ঢিল সুহেল মাহমুদের বাড়িতে পড়লে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এক পর্যায়ে উভয়প তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে গোটা গ্রাম রনেেত্র পরিনত হয়। প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকলে পুলিশ বাহিনী বার-বার চেষ্টা করেও সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে পারেনি। রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আসলেও উভয়পরে মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুর্তে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় আশংকা করছেন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত সামছু মিয়া (৩৫), ফখরুল ইসলাম (২১), রাকিব (৮), জামিল (২০) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আবুল খয়ের (২৬), শাহ আলম (৩৫), রাসেল (৩২), সুহেল মাহমুদ (৪০), আলী হোসেন (৪৬), জেসমিন বেগম (২৮), আনোয়ার হোসেন (৩০) সহ অন্যান্য আহতদের ছাতক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।