খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি,০৮-০৭-২০১৪ঃ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলা বাবুছড়ায় ৫১বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের নামে জমি বেদখল, নিরীহ আদিবাসী গ্রামবাসীদের উপর হামলা ও বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদ, মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে সংবাদিক সম্মেলন করেছে খাগড়াছড়ি সচেতন নাগরিক সমাজ।মংগলবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি শহরের মহাজন পাড়াস্থ একটি বেসরকারী টং এন্ড কনভেশন রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষবিদ অনন্ত বিহারী খীসা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক সমাজের সদস্য সমাজসেবক কিরন মারমা। অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টিআইবি-সচেতন নাগরিক কমিটি’র সভাপতি বোধি সত্ব দেওয়ান, পাজেপ সাবেক সদস্য বিনোদ বিহারী খীসা, হেডম্যান ক্ষেত্র মোহন রোওয়াজা, অরুনেন্দু শেখর চাকমা, নারী নেত্রী নামিতা চাকমাসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা । বক্তারা অভিযোগ করে বলেন বাবুছড়ায় বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। গত ১০জুন ২০১৪ইং তারিখে কয়েকজন নারী তাদের জায়গায় কলা গাছ রোপন করতে গেলে তাদের উপর বিজিবি সদস্য ও শ্রমিকেরা আক্রমন করে উল্টো ১১১জন পাহাড়ির নাম উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা করেছে বিজিবি। ঘটনার জের ও আতংকে ২১পরিবার বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিলেও তাদের অদ্যবধি পর্যন্ত কোন সাহায্য দেওয়া হয়নি।লিখিত বক্তব্যে আরো জানানো হয় উচ্ছেদ হওয়া পরিবার গুলো আশি দশকে বাবুছড়া আর্মি ক্যাম্প স্থাপন ও তৎকালীন বিরাজমান পরিস্থিতি’র কারনে একবার উচ্ছেদ হতে হয়ে ভারত ত্রিপুরা’র রাজ্যে সীমান্তে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র পর সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী ২০দফা প্যাকেজ চুক্তির আওতায় ভারত থেকে ফেরত আসেন। চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে পূর্নবাসন ও নিজেদের জায়গা জমি ফেরত কথা থাকলেও বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের নামে তাদেরকে আবারও উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে পাঁচ দফা দাবী নামা পেশ করে। দাবী সমূহ (ক) বাবুছড়ায় বিজিবি’র ৫১বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপন বন্ধ করে অভিলম্বে বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসনের অবৈধ জমি অধিগ্রহন বাতিল করে আদিবাসীদের জমি নিজ নিজ কে ফিরিয়ে দেওয়া হোক, (খ) ১০জুন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি’র করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান, (গ) মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের অভিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, (ঘ) গ্রামে গ্রামে সেনা ও বিজিবি টহল নামে জনগনের মধ্যে আতংক ছড়ানো বন্ধ করতে হবে, (ঙ)উচ্ছেদকৃত পরিবারদের যথাযত ক্ষতি পূরন প্রদান করা।