কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিযার ভেড়ামারায় যুবক হত্যার দায়ে একই পরিবারের তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহষ্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর দেড় টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া হিসনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নাগর মিস্ত্রীর স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৭০), ছেলে আব্দুল মান্নান (৫২) এবং পুত্রবধু মেরিনা খাতুন (৪০)। এছাড়া এমামলার অপর আসামী ছোট হযরত আলীকে বেকশুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ আগষ্ট দুপুরে ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া হিসনাপাড়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে নিহত যুবক খায়রুলের ভাই শাহিন কাঁচাপাট বোঝাই ট্রলি চালিয়ে যাওয়ার সময় পিছনে ছোট ছোট কয়েকটি শিশু ঝুলছিলো। শাহিন ট্রলি দাঁড় করিয়ে ওই বাচ্চাদের বকাবকি করায় আসামীরা যোগসাজসে ট্রলি চালককে ঘরে আটকিয়ে মারধর করতে থাকে। সংবাদ পেয়ে শাহিনের পরিবারে সদস্যরা ছাড়িয়ে নিতে ঘটনাস্থলে আসে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামীরা তাদের উপর চড়াও হয় এবং লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে মারধর করে। এ ঘটনায় শাহিনের ছোটভই খায়রুল গুরুতর জখমসহ আঘাতপ্রাপ্ত হন। আহত খায়রুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে ৪জনকে আসামী করে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে ১৭জানুয়ারী আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন পুলিশ। আদালত ২০১৫ সালের ৬ মে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে স্বাক্ষ্য শুনানী শুরু করেন।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী বিডিটুডেকে জানান, পুলিশের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে যুবক খায়রুল হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় একই পরিবারের তিন আসামীর যাবজ্জাীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষনার সময় দন্ড প্রাপ্ত আসামীরাসহ খালাসপ্রাপ্ত আসামীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।