স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতার রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি আবার শুরু হয়েছে। বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে মহানগর দায়ের জজ আদালত থেকে মতিঝিল-৪৪(৯)১৩ মামলার নথি ঢাকা মেট্টোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) এসে পৌঁছালে আবার শুনানি শুরু হয়।
এরআগে বেলা ১১টার দিকে মামলার মূল নথি আদালতে না থাকায় রিমান্ড শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে এ শুনানি শুরু হয়।
এরআগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এমকে আনোয়ারসহ পাঁচ নেতাকে আদালতে আনা হয়। অপর তিন নেতা হলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির জন্য মামলা দুটির কেস ডকেট আদালতে এসে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের জিআরও মো. গাফফারুল আলম। বিএনপির এসব হাইপ্রোফাইল নেতাদের রিমান্ড শুনানি উপলক্ষে পুরো আদালত এলাকায় নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ করা যাচ্ছে সিএমএম আদালতের সামনে।
গত ৯ নভেম্বর পৃথক দুটি মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করা হলেও মামলার কেস ডকেট না থাকায় বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ঠিক করে আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৯ নভেম্বর এই ৫ নেতাকে আদালতে হাজির করে মতিঝিল থানার ২টি মামলায় এসআই মিজানুর রহমান ও খন্দকার জাহিদ আলী ১০ দিন করে ২০ দিনের ওই রিমান্ড আবেদন করেন।
মতিঝিল থানার ৪৪(৯)১৩ নম্বর মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, তথ্য মন্ত্রীর বাসায় বোমা হামলার ঘটনায় ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হলে উক্ত আসামিদের পরিকল্পনা ও নির্দেশ মতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সোয়া ১২টার দিকে এজাহার নামীয় ৫৪ জন আসামিসহ অজ্ঞতানামারা মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুলের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ঝটিকা মিছিল বের করে রাস্তায় চলাচলরত গাড়িতে ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এছাড়া, মতিঝিল থানার অপর ১৬(১১)১৩ নম্বর মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ৫ নভেম্বর হরতালের সমর্থনে রাজধানীর কমলাপুর বাজার রোডস্থ নিউ আনার কলি বেকারির বিপরীত দিকের রাস্তায় উক্ত আসামিদের পরিকল্পনা ও নির্দেশ মতো এজাহারনামীয় ৭৪ জন আসামি রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি, ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে এবং গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসা থেকে বের হলে উক্ত নেতাদের আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।