ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : কেনিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বলেছে, তারা নাইরোবির ওয়েস্টগেট শপিং মলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রন নিয়েছে। আল কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত সোমালি জঙ্গিদের হামলা ও জিম্মি সঙ্কটে তিন দিনের অচলাবস্থার পর তারা এ শপিং মলের নিয়ন্ত্রন নিল।
কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আটকে যাওয়া মানুষের খোঁজে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি দল মলটির প্রত্যেকটি তলায় অভিযান চালাচ্ছে।
নিরাপত্তা বাহিনী বলছে, সকল জিম্মিকেই এখন মুক্ত করা হয়েছে।
কেনিয়ার সরকার জানাচ্ছে, সন্দেহভাজন সোমালি জঙ্গীগোষ্ঠি আল-শাবাবের সদস্যদের এ হামলায় ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
রেডক্রসের হিসেবে, অন্তত ৬৯ জন নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি এখনো নিখোঁজ।
এদিকে প্রথমবারের মত নাইরোবির এই ঘটনায় মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এই হামলাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি। কেনিয়ার সাহায্যের জন্য যা কিছু দরকার সব কিছু করার জন্যও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা বলেছেন তার দেশ এই সংকটের মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আল-শাবাবের সন্ত্রাসীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কা-পুরুষোচিত হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, “তা সত্ত্বেও সরকার নিজে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিরা নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করে রেহাই পাবে না।”
এই হামলায় প্রেসিডেন্টের ভাগনে এবং তার বাগদত্তা নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ঘানার জনপ্রিয় কবি কফি আউনুর, একজন কানাডীয় কূটনীতিক, তিনজন ব্রিটিশ ও দুইজন ফরাসী নাগরিক রয়েছেন।
আরো নিহত হয়েছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের একজন সাবেক কর্মকর্তা।
দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন হামলাকারীদের শপিং-মলের একটি অংশে কোণঠাসা করে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন তারা।
এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে সোমালি ইসলামপন্থী সংগঠন আল শাবাবের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, সোমালিয়ায় কেনিয়ার সৈন্যদের উপস্থিতির জবাব হিসাবে এই হামলা করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি।