নুরনবী সরকার, লালমনিরহাট প্রতিনিধি ঃলালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় মেহেদী হাসান সুমন নামে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পরেছে। আলোচিত সুমন উপজেলার হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের বিচারের দাবীতে রোববার দুপুরে কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগ।
সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েক দিন ধরে ‘হাতীবান্ধায় এক পরিমলের সন্ধান’ এমন একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হতে থাকে। বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে কমেন্ট করতে থাকে। অনেকেই ফেসবুকে কমেন্ট করে ‘কে এই পরিমল? অবশেষে হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান মামুন তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে মাধ্যমে দাবী করেন ‘ওই পরিমল খ্যাত শিক্ষকের নাম সুমন’। ঢ়ধৎাবু যড়ংংরহ নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী হাতীবান্ধার স্থানীয় একটি কলেজের ইংরেজী বিভাগের (অনার্স শাখার) প্রভাষক মেহেদী হাসান সুমনের ছবি আপলোড করে দাবী করে “শিক্ষক সমাজের এই কুলাঙ্গার না কি হাতীবান্ধার পরিমল জয়ধর” এ নিয়ে ফেসবুকে শুরু হয় তোলপাড়। ‘সত্য প্রকাশে চৌব’ নামে অপর একটি ফেসবুক আইডিতে কিছু অস্পস্ট যৌন নিপীড়নের ছবি আপলোড করে স্ট্যাটাস দেয় “ঘটনা সত্য, সুমন মাষ্টার হাতীবান্ধার পরিমল”। ওই স্ট্যাটার্সটি শেয়ার করে করে ‘আলোর পথ’ নামে একটি আলোচিত ফেসবুক আইডি লেখেছেন “এটি কি দেখলাম, হয়তোবা শেষ জামনার কিছু আলামত, সর্ব উচ্চ সম্মানের নাম যদি শিক্ষকের পেশা, আর সুমন এটি কি করলেন সমগ্র শিক্ষক জাতিকে কলংকিত করলেন, মা বাবার অনেক কষ্টের উপর্জ্জিত অর্থ দিয়ে শিক্ষার জন্য সুমন মাষ্টারের কাছে পাটাইলেন শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে সে আর পরিমলরা এ কোন শিক্ষা দিচ্ছে, এটি কি বিদ্যা দানের অংশ নাকি দাঁড়ে দাঁড়ে সেক্স প্রশিক্ষন, না কি তার উল্টো জবর দস্তি ভাবে ধর্ষন, ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা উচিৎ, তাই আমি হাতিবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল কবির সাহেব কে ব্যাপারটি সত্যতা যাচাই করে অপরাধী কে আইনের আওতায় এনে শাস্তি ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করছি, সেই সাথে হাতিবান্ধা উপজেলা হলরুমে অভিভাবক সমাবেশ করে তাদেরকে সচেতন করা হউক এবং আসামির বিরুদ্ধে সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হউক”।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই এ ঘটনার তদন্ত ও বিচার দাবী করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান মামুন জানান, আমরা কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর অভিযোগ করেছি। অধ্যক্ষ স্যার বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।
আলোচিত কলেজ শিক্ষক মেহেদী হাসান সুমন জানান, আমি এখন অসুস্থ্য। সামাজিক ভাবে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটা একটা ষড়যন্ত্রের অংশ। যারা অপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান সাংবাদিকদের জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।