হাটহাজারী প্রতিনিধি : বদরাগী, মেজাজি হিসেবে আগে থেকেই সমালোচিত চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাত জাহান পান্না। কিছুদিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে এক ব্যবসায়ীর দাড়ি ছেঁটে দেওয়ার হুমকি দিয়ে একদফা উপজেলা জুড়ে চরম বিতর্কের জন্ম দেন। এই নিয়ে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও আল্টিমেটাম দেওয়ার ঘটনা ঘটে ।
তিনি আবারও উপজেলা জুড়ে চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন। দেরি করে স্কুলে আসায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে চপেটাঘাত করেছেন। শুধু তাই নয়, তার সুপারিশে দুই শিক্ষিকাকে সন্দীপ উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। এদিকে তার অপসারণ দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, গত বুধবার সকাল ১০টায় ইউএনও ইশরাত জাহান পান্না হাটহাজারীর আলী মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে কোনো শিক্ষিকাকে না পেয়ে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান শিক্ষিকা ও সহকারী শিক্ষিকা জিন্নাত আরা (৩২) স্কুলে উপস্থিত হলে তাদের বিলম্বের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। শিক্ষিকারা কারণ ব্যাখ্যা করলে তিনি প্রধান শিক্ষিকাকে চপেটাঘাত করেন। এরপর দীর্ঘসময় গালমন্দ করে স্কুল থেকে চলে যান। নিজ দপ্তরে গিয়ে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠান।
এই দুই শিক্ষিকাকে সন্দীপ উপজেলায় বদলি করা হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি আবু বক্কর মানু তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইউএনও’র অপসারণ দাবি করে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান পান্না জানান, বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ছুটিতে থাকায় অপর দুই শিক্ষিকাকে অবশ্যই সকাল ৯টার মধ্যে আসার কথা। কিন্তু তারা দুই ঘণ্টা পর বিদ্যালয়ে আসেন। তিনি শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেন।