স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দুটি অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঁচ হাজারেরও বেশি কর্মচারী নিয়োগের আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পৃথক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ‘সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নেয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ করা হবে না’ মর্মে কারণ দর্শাতে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলের জবাব দিতে স্বাস্থ্য সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সাত জনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন সিদ্দিকীসহ দুজন নিয়োগ প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহিল মাহবুব রিট আবেদন দায়ের করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার এবং অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন।
২০১২ সালের ২২ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ৯১৫ জনের বিপরীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০১৩ সালের ২১ মার্চ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ৪ হাজার ২৯৪ জনকে নিয়োগের উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এসব নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানা গেছে।
রিট আবেদনের অভিযোগ করে বলা হয়, প্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই না করে শুধু তদবিরের জোরে নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হচ্ছিল। যা সংবিধান পরিপন্থী।
এ বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।