স্পোর্টস ডেস্ক : ইকুয়েডর গোল করার পর সৌভাগ্যক্রমে আমরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে পেরেছিলাম। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। আর্জেন্টিনাকে ছাড়া বিশ্বকাপ হতো অস্বাভাবিক। আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবো।’ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই শোনালেন লিওনেল মেসি।
এদিকে কোচ হোর্হে সাম্পাওলি বললেন, ‘মেসির কাছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ পাওনা নেই। উল্টো ফুটবলের কাছে বিশ্বকাপ পাওনা আছে মেসির। এটা সৌভাগ্য যে সে আর্জেন্টিনার। বিশ্বকাপ কোনোভাবেই মেসি ছাড়া অনুষ্ঠিত হতে পারে না। এটাও তার মাথায় ছিল। একের পর এক চাপ সয়ে আমরা আরও শক্তিশালী হয়েছি। এই বাছাইপর্ব ভবিষ্যতে আমাদের আরও পরিণত করবে।’
আজ বাংলাদেশ সময় ভোরে লিওনেল মেসির হ্যাট্রটিকে ইকুয়েডরকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের কাছে চিলি পরাজিত হওয়ায় আর কলম্বিয়া-পেরু ড্র করায় তৃতীয় হয়ে সরাসরিই ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে পা রাখল মেসি-ডি মারিয়ারা। বাঁ পায়ের নিখুঁত কারুকাজ দিয়েই নিজ দেশের জয়ের মালা সাজিয়েছেন পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে বসে আর্জেন্টিনা। কোটি সমর্থকের দিলে চোট দিয়ে আর্জেন্টাইনদের জালে প্রথমবার বল ঠেলে দেন ইকুয়েডরের রোমারিও ইবারা। বক্সের ঠিক মাঝখান থেকে আসা রবের্তোর হেড বাঁ পায়ের শটে আর্জেন্টিনার জালে বল জড়ান রোমারিও।
ব্যবধান মিইয়ে যায় এর ১১ মিনিট পর। বক্সের খানিকটা আগে থেকে ডি মারিয়ার বাড়ানো বল বাঁ পায়ের আলতো শটে ফাঁকি দেয় ইকুয়েডরের গোলরক্ষককে।
২০তম মিনিট বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে মেসিকে বল দেন ডি মারিয়া। সামনে গোলরক্ষক। পাশে তিনজন। মেসিও ব্যবহার করলেন তার জাদুকরী বাঁ পা। গোলবারের কোনা দিয়ে তুলে মারেন। গোলরক্ষক মাটিকামড়ানো শট ভেবে ডাইভ দিতে চেয়েছিলেন। ততক্ষণে বল জালের সঙ্গে জড়িয়ে গেল।
৬২তম মিনিটে মাঝ মাঠের একটু উপর থেকে পেরেজ বল দেন। এবার একটু দূর থেকে শট নেন। প্রায় ৪০ গজ হবে। ভুল করেননি লিও। রক্ষণকে বোকা বানিয়ে তাদের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে দিলেন জালে। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি ইকুয়েডর গোলরক্ষক।