এম শিমুল খান, খুলনা প্রতিনিধি, ১০ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবন উপকুলীয় এলাকায় প্রজনন মৌসুমে মা কাঁকড়া ধরা হচ্ছে। ফলে সম্ভবনাময় মৎস্য সম্পদ কাঁকড়ার অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা। খুলনা ও সাতীরা রেঞ্জের ৫৪ নং কম্পার্টমেন্টের মান্দার বাড়িয়া এলাকাটি অভায়রাণ্য হলেও মাছ ধরার পাস নিয়ে সেখানে কাঁকড়া শিকার চলছে অবাধে। একই ভাবে ৬৩ নম্বরে কম্পার্টমেন্টের চামটা, ইলশেমারি, খেজুরদানাসহ রায়মঙ্গল নদী সংলগ্ন চলছে কাঁকড়া শিকার। জানা গেছে, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতীরার সুন্দরবন এলাকায় থানাগুলোর মৎস্য জীবিরা সুন্দরবনে প্রজনন মৌসুমেও শিকার করছেন কাঁকড়া। বন বিভাগের দুর্বল নজরদারি ও জেলেদের সাথে আর্থিক সমঝোতার মাধ্যমে তারা প্রজনন মৌসুমেও কাঁকড়া ধরছে ফলে কাঁকড়ার বংশ বিস্তার লোপ পাওয়ার আশাঙ্কা করা হচ্ছে। ব্যাপক অনুসন্ধানে জানা গেছে,কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হচ্ছে জানুয়ারি থেকে মার্চ। এই তিন মাস সুন্দরবন সংলগ্ন নদ নদীতে কাঁকড়া ধরা সম্পূর্ণ বন্দ রাখা হয়। জেলেদের কে দেওয়া হয়না কাঁকড়া ধরার পাস। কিন্তু জেলেরা তা মানছেন না। বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারির সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁরা সারা বছরের জন্য কাঁকড়া ধরা অব্যহত রেখেছে বলে জানা গেছে। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলি, বিনয় পরামানিক ও গোবিন্দ মন্ডল জানান, ডিসেম্বর শেষ সপ্তাহ থেকে বন বিভাগ কাঁকড়া ধরার পাস দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তারপর মাছ ধরার পাস নিয়ে বনে ঢুকে শিকার করা হয় কাঁকড়া। কাঁকড়া ধরার কারনে সংশ্লিল্ট ষ্টেশনের কর্মকর্তা কর্মচারিদেরও খুশি রাখতে হয়। কাকড়া ধরার কুফল জেলেদের বলা হয় না। প্রজনন মৌসুমে কাঁকড়া শিকারের বিষয়ে সাতীরা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌফিক এলাহী বলেন, ডিসেম্বর থেকে কাঁকড়া ধরার পাস দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। মাছের পাস নিয়ে যাতে কাঁকড়া না ধরতে পাওে সে ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হয়েছে।