সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের নেতা মামনুল হকের অনুসারীদের হামলার ঘটনায় কয়েকজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে (মামলা নম্বর-০৬)। তবে আসামি ও বাদীর নাম প্রকাশ করতে অপরাগতা প্রকাশ করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ)সন্ধ্যায় জেলার শাল্লা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
জানাযায়,হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক গত ১৫ মার্চ দিরাইয়ে হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে শানে রিসালাতে বক্তৃতা করেন। ওই সমাবেশে তার কিছু বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হন শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুটন দাস আপন (২৮)। তিনি মামুনুলের সমালোচনা করে মঙ্গলবার ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। ঐ যুবক হেফাজতে ইসলামের নেতা মামনুল হককে ‘কটুক্তি’ করে ফেসবুকে লেখার জেরে তার অনুসারী দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় উত্তেজনা দেখা দেয়। হেফাজতে ইসলাম ও মামুনুল হক অনুসারীরা এমন পোস্টে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এই ঘটনায় ঐ যুবকের গ্রামে(উপজেলার নোয়াগাঁও) গ্রামে গত বুধবার ১৭ই মার্চ সকালে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে ভয়ে গ্রামবাসী পালিয়ে গেলে তারা গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। হামলাকারীরা গ্রামের অর্ধশতাধিক ঘর বাড়ি,মন্দির ভাঙচুর করে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটে নি।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করার পর পুলিশ ও র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ১৮মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এসময় দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান র্যাবের মহাপরিচালকের কাছে ভুক্তভোগী গ্রামের বাসিন্দাগন।
একাধিক সুত্রে আরও জানাযায়,জেলার শাল্লা থানায় দুইটি মামলা হয়েছে একটি পুলিশ বাদি হয়ে অপরটি নোয়াগাঁও গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি মামলা করেন। আর মামলায় আসামী ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ ৭০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় মামলা হয়েছে আর আসামিদের ধরতে আমরা অভিযানে আছেন বলে জানিয়ে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক আরও জানান,মামলার স্বার্থে বাদী ও আসামিদের নাম বলা যাবে না।