মোঃ ফুয়াদ মন্ডল, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : গাজীপুরের শ্রীপুরে ধর্ষণের পর অন্তঃসত্বা তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শিশু মায়ের দায়িত্ব নিল উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনা আকতার সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে বাড়ী থেকে এনে শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর শ্রীপুর থানায় মামলা হলেও আসামী আমানুল্লাহ পলাতক রয়েছে। জানা যায়, ভিকটিম উপজেলার সাইটালিয়া দাখিল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে আমানুল্লাহ (২৩) গত সাত জুন’১৭ তারিখে মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ী ফেরার পথে সাইটালিয়ার মোল্লা খালির টেক নামক স্থানে জঙ্গলে নিয়ে জোড় পূর্বক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে আমানুল্লাহ ওই ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে বলে কাউকে বললে তাকে মেরে ফেলবে। এর পর থেকে আমানুল্লাহ সময় সুযোগ মত প্রায়ই ওই ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কাজ করতো। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পরলে পুরো এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। এ সংক্রান্তে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি গাজীপুর জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি কাড়ে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনা আকতার ওই ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে তাকে শ্রীপুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আকতার জানান, এতদিন এক ট্রেনিংয়ের কাজে দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে ফেরার পর রোববার ওই শিশুর ধর্ষণের কথা জানতে পারি। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার নিজে তাদের বাসায় যাই এবং তাকে নিয়ে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার আল্টাসনোগ্রাম, রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষাসহ যাবতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর প্রয়োজনীয় ঔষধ কিনে দেয়া হয়েছে। আগামি বৃহস্পতিবার তাকে মাতৃত্বকালীন টিকা দেয়া হবে। এখন থেকে ওই ছাত্রীর লেখাপড়া, চিকিৎসা, নিরাপত্তা সহ সন্তান প্রসবের পর পূর্ণবাসনের দায়িত্ব পালন করবে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মইনুল হক খান জানান, মেয়েটি এখন অপুষ্টিতে ভোগছে তার যথাযথ চিকিৎসা দরকার। উপজেলা হাসপাতালের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই মেয়ে ঘটনাটি তার মায়ের কাছে প্রকাশ করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্ত শ্রীপুর থানার এস.আই, এখলাস উদ্দিন জানান, ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ভিকাটমের জবান বন্দি গ্রহন করেছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযান চলছে।