মোঃ আরিফুর রহমান মাদারীপুর প্রতিনিধি -আর মাএ কয়েক দিন বাকি । দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। মুসলমান সম্প্রদায়ের এ উৎসবের মূল অনুষঙ্গ পশু কোরবানি। আর তাই গরু ছাগল, মহিষ ও উটসহ কোরবানির সব পশুর আগমনে জমে উঠতে শুর করেছে মাদারীপুরের সব হাট। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হাটগুলোতে পা ফেলার যেন জায়গা নেই। একই সঙ্গে বৃষ্টি, কাদায় ও গরুর বর্জ্যে মাখামাখি সব হাট। সকাল বেলা খুব বেশি ক্রেতার দেখা না মিললেও বিকেলে চোখে পড়েছে সেই চিরচেনা দৃশ্য। বিকেলের পর অধিকাংশ হাটেই ক্রেতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে বিক্রি নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্টির কথা শোনাতে পারলেন না বিক্রেতারা।বিদেশী গরু আসার কারনে অনেকটাই লোকসানের আশঙ্কা পশু ব্যবসায়ীদের। আর ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চড়া দামকে। সেই সাথে এখনো কিছু দিন বাকি থাকার অজুহাত তো আছেই। এবার প্রায় হাটে ২লক্ষ থেকে ৩লক্ষ টাকার গরু এসেছে। তবে যাও দু’ একটি গরু বিক্রি হচ্ছে ২৫হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতা বিক্রেতারা তুলে ধরেন তাদের বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধা ও মুল্যের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কোরবানীর উপলক্ষে যে হাটগুলো মাদারীপুর বসেছে , সেখানে যাতে বিদেশী কোন গরু আসতে না পারে এবং প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে যে অবৈধ হাট বসেছে, সেগুলো যেন না বসেতে পারে সেদিকে প্রশাসনের নজর দাবী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাটে গিয়ে দেখা গেছে, কোরবানি পশুর আমদানি স্বাভাবিক। তবে হাটে গরুর আমদানি বেশি থাকলেও দাম কম নয়। এর মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারে গরুর দাম বেশি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পশু পালনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান দাম নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নয়। ক্রেতারা বলছেন, হাটে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও দাম তুলনামূলক বেশি।
মাদারীপুর পৌরসভার চরমুগরিয়া হাট কর্তৃপক্ষ মো. আলমগীর জানান আমার সরকারী রেট থেকে কম নিচ্ছি তারপর প্রথম দিকে তেমন কোন ক্রেতা না থাকলেও শেষ দিকে কিছু ক্রেতা আসেেতছে।
জেলা প্রানী সস্পদ অধিদপ্তর, জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা, ডা. মো. হুমায়ন কবির বলেন যারা কোরবানি গরু কিনবে তারা যেন ঔশধ খাওয়ানো মোটা করা গরু কিনে প্রতারিত না হয় সেজন্য আমরা প্রতিটি হাটে দুইজনের একটি টিম দিয়েছি যদিও আমাদের জনবল কম।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার, মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন- এবছর জেলার ৪টি উপজেলায় যেসব স্থানে কোরবানির পশু বিক্রির হাট বসেছে সেখানে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।