রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ-মহাসড়কের কালভাটের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ইটের প্রাচী দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে বহুতল ভবন নির্মানের কাজ করাচ্ছেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার করিয়া কলন্ধা গ্রামের মহির উদ্দীনের দুই ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ও জাহাঙ্গীর আলম । এতে শত শত একর ফসলি জমির আবাদ অনিশ্চিত হতে চলছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলার ভৌগলিক এলাকার শেষ সীমান্ত এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভৌগলিক সীমান্ত ৬নং ভানোর ইউপির আম পাথারী(সারের কারখানা সংলগ্ন) গ্রাম দিয়ে বালিয়াডাঙ্গীসহ জেলা সদর ঠাকুরগাও যাওয়ার মহাসড়কে(এশিয়ান হাইওয়ে) নির্মিত কালভাটের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনটি ইটের প্রাচী দিয়ে বন্ধ করে এবং সড়কের ফুটপাতের সমস্ত জায়গাটুকুতে মাটি ভরাট করে ড্রেনের চিহ্ন মুছে ফেলা হয়েছে। দেখা যায় মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বের কালভাটের ড্রেনের মুখটি ইটের প্রাচী দিয়ে মজবুত করে বন্ধ করা হয়েছে। এবং মহাসড়কের প্রায় ১০ ফিট পরিমাণ ফুটপাতের জায়গাটুকুতে মাটি ভরাট করে একেবারে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানায়,সম্প্রতি এখানে মহাসড়কের কালভাটের ড্রেন বন্ধ করে বহুতল ভবনের নির্মানের কাজ শুরু করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার করিয়া কলন্ধা গ্রামের মহির উদ্দীনের দুই ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ও জাহাঙ্গীর আলম। শুরুতে আমরা আপত্তি জানাই কিন্তু আমাদের কোন কথায় তারা কর্ণপাত করেন নি। যেভাবে করে ইটের প্রাচী দিয়ে ড্রেন বন্ধ করা হয়েছে এতে আমাদের শত শত একর ফসলি জমিগুলোতে আবাদ করা খুব বিপদ হয়ে দাড়িয়েছে। কারন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকলে ফসলি জমিতে যদি পানি জমে থাকে তাহলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এবং কি ফসল না হওয়ার সম্ভবনায বেশি এ নিয়ে আমরা চিন্তায় রয়েছি কি হবে আমাদের আবাদি জমিগুলোর। রানীশংকৈল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, কোন ফসলি জমিতে যদি একাধারে একাধিক দিন পানি জমে থাকে নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ঐ জমিগুলোতে ফলন না হওয়ার সম্ভবনা বেশি তবে রবি মৌসুমের ফসল হতে পারে ।
এ বিষয়ে সহজ জনপথের ঠাকুরগাও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম সারওয়ারের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।