ব্রেকিং নিউজ
Home | ফটো সংবাদ | রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির মায়াকান্না মানায় না : হাছান মাহমুদ

রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির মায়াকান্না মানায় না : হাছান মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মিয়ানমারে অং সান সু চির হাতে যেমন রোহিঙ্গাদের রক্ত মাংসের পোড়া গন্ধ, তেমনি বিএনপি নেতাদের হাতেও সাধারণ মানুষের রক্ত মাংসের পোড়া গন্ধ। সুতরাং রোহিঙ্গাদের জন্য বিএনপির মায়াকান্না মানায় না।’

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারের শোকসভায় এসব কথা বলেন তিনি। শোকসভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ নামের একটি সংগঠন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে সারাদেশের মানুষ যখন উৎকণ্ঠা, অস্থিরতায় ভুগছে বেগম খালেদা জিয়া তখন লন্ডনে শপিংয়ে ব্যস্ত। এর আগে দেশে যখন বন্যা চলছিল তখন খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনী আইএসআইয়ের সঙ্গে গোপন বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া পারতেন রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখে ছুটে আসতে। কিন্তু আসেননি, তারা এখন রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব, আমেরিকা ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টসহ বিভিন্ন দেশে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন। আর বিএনপি চুপ। আসলে বিএনপি কারো প্রশংসা করতে পারে না। আর করবেই বা কীভাবে, লন্ডনে খালেদা জিয়া ব্যস্ত আইএসআই এর সঙ্গে বৈঠকে এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম ব্যস্ত প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন নিয়ে।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র জনগণ। কিন্তু এসব বন্ধে সে দেশের সরকার অং সান সু চি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তাই প্রকাশ্যে এসব অপরাধে ইন্ধন যোগানোর অপরাধে সু চি’র নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেয়ার দাবি জানাই। সু চির মতো শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়ে কেউ যেন আর এমন বর্বরতা চালাতে না পারে, সে বিষয়েও নোবেল কমিটিকে চিন্তা করতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে, তাদের নিবন্ধন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর সর্বোচ্চ ঘনবসতির দেশ। তার মধ্যে এই বিশাল বিদেশি নাগরিকদের সাহায্য করা সম্ভব নয়। তারপরও আমরা যথাযথ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

এসময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সদ্যপ্রয়াত শিল্পী আবদুল জব্বারের স্মৃতিচারণ করেন হাছান মাহমুদ। বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শিল্পী আবদুল জব্বার মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ বাড়াতে অনেক কালজয়ী গান গেয়েছেন। এসব অমর শিল্পীদের কারণেই মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট এত সহজে রচিত হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

মদনে সিএনজি অটো রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠন

সুদর্শন আচার্য্য, মদন (নেত্রকোণা) ঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলায় মিশুক, সিএনজি, অটো রিক্সা ...

মদনে হানাদারমুক্ত দিবস পালিত

সুদর্শন আচার্য্য, মদন (নেত্রকোণা)ঃ নেত্রকোণা মদনে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কমান্ডের ...