স্টাফ রিপোর্টার, ১৪ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : রূপালী ইন্স্যুরেন্স ২০১১ সালে আয় করেছিল ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। গত বছর আয় করেছে ১৪ কোটি টাকারও বেশী। অর্থাৎ কোম্পানিটির আয় বেড়েছে প্রায় শতভাগ। ২০১১ সালে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার ৮১২টি। গত বছর ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ১:১ অনুপাতে রাইট শেয়ার ইস্যু করার পর কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ কোটি ৩৪ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮৬টিতে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১২ সমাপ্ত অর্থ বছরে রূপালী ইন্স্যুরেন্স ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থ বছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩.৩১ টাকা। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৮ মার্চ। এছাড়া আগামী ২৪ এপ্রিল বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে।
২০১১ সালে এ কোম্পানির নিট মুনাফা ছিল ৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। গত বছর নিট আয় দাঁড়ায় ১৪ কোটি টাকার বেশী। অর্থাৎ ২০১১ সালের তুলনায় ২০১২ সালে আয় বেড়েছে প্রায় শতভাগ। শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও কোম্পানিটি গত বছরের ন্যায় এ বছরও একই পরিমাণ ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ২০১১ সালের তুলনায় ২০১২ সালে শেয়ার সংখ্যা প্রায় আড়াই গুণ বেড়ে যাওয়ার পরও ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করায় এর শেয়ারহোল্ডাররা এ খাতের অন্য কোম্পানির ব্যাপারেও আশাবাদী হয়ে উঠছেন।
রূপালী ইন্স্যুরেন্স ২০১১ সালের জন্য ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। সে সময় এ কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩.৬৮ টাকা।
উল্লেখ্য, ইন্স্যুরেন্স খাতে ইতিমধ্যে ৬টি কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যার বেশিরভাগেই আগের বছরের তুলনায় বেশি ডিভিডেন্ড দিয়েছে।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্স ২০১২ সালের জন্য ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির ইপিএস হয়েছে ২.৪৬ টাকা। আগের বছর প্রতিষ্ঠানটি লভ্যাংশ দিয়েছিল ১০ শতাংশ স্টক এবং ইপিএস ছিল ১.৯০ টাকা।
গ্রিন ডেল্টা ২০১২ সালের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ এবং ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। সমাপ্ত বছরে এর ইপিএস হয় ৪.৬৬ টাকা। আগের বছর কোম্পানিটি লভ্যাংশ দিয়েছিল স্টক ২৫ শতাংশ এবং ইপিএস ছিল ৩.২৮ টাকা।
নর্দার্ন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এ বছর ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থ বছরে এর ইপিএস ১.৯৮ টাকা। আগের বছর কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে এবং ইপিএস ছিল ১.৫১ টাকা।
ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স এ বছর ৭.৫০ শতাংশ নগদ ও ১০.১৯ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থ বছরে এর ইপিএস হয়েছে ২.৭২ টাকা। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। সে সময় ইপিএস ছিল ৩.১৮ টাকা।
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স এ বছর ৩০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত বছরে এর ইপিএস হয়েছে ৪.০৬ টাকা। গত বছর কোম্পানিটি ৪০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল এবং ইপিএস ছিল ৫.২২ টাকা।
ইন্স্যুরেন্স খাতে এ পর্যন্ত ঘোষিত ডিভিডেন্ডের মধ্যে ৪টি কোম্পানি গতবছরের তুলনায় বেশী ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। একটি কোম্পানি সমপরিমাণ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে এবং একটি কোম্পানি গত বছরের চেয়ে কম ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ঘোষিত ডিভিডেন্ড দেখে ইন্স্যুরেন্স খাতের কোম্পানিগুলোর ডিভিডেন্ড নিয়ে আশাবাদী হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।