ন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বলেছেন, দেশটির রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের পরিকল্পনায় তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে এর জন্য এক বছর সময় লাগবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আসাদ রাজধানী দামেস্কের কাছে ২১ আগস্ট ভয়াবহ রাসায়নিক হামলার সঙ্গে তার বাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ আবারো প্রত্যাখান করেছেন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া সিরিয়াকে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করে।
সিরিয়ায় মজুদকৃত রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার বিষয়ে আসাদ বলেন, প্রযুক্তিগতভাবে এটা খুবই জটিল একটা কাজ। এছাড়া এর জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন। বিলিয়ন ডলারও লাগতে পারে।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা কত দ্রুততার সঙ্গে কাজটা করতে পারবে সেটার ওপর নির্ভর করছে বিষয়টি। এই সময়সীমাটা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। এজন্য এক বছর অথবা এর চাইতে কিছু বেশি সময় লাগতে পারে।
রাসায়নিক অস্ত্র আমেরিকার কাছে হস্তান্তরের কোনো ইচ্ছা আছে কিনা এর উত্তরে প্রেসিডেন্ট আসাদ বলেন, ‘এর জন্য প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন এবং এগুলো পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। আমেরিকার প্রশাসন যদি এই অর্থ পরিশোধ করে এবং ক্ষতিকর অস্ত্র আমেরিকায় নিয়ে যেতে রাজি থাকে তাহলে কেন আমরা এটা করবো না?’
দামেস্কে ধারণ করা এক ঘণ্টার এই সাক্ষাতকারে সিরিয়া সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের সমালোচনা করেন আসাদ। তিনি বলেন, মস্কো না চাইলেও ওয়াশিংটন চেষ্টা করছে সিরিয়ার সরকার এবং নেতৃত্বে নাক গলাতে চাইছে।
তিনি যুক্তি দেখান যে, যদি তাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতো তবে কোনো সমস্যা হতো না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনার দেশের জনগনের কথা শুনুন এবং সাধারণ মানুষ কি চায় তা অনুসরণ করুন। সূত্র: জেডএস.