চাইথোয়াই মারমা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : একের পর এক বদলির কারনে শিক শূণ্যতা দেখা দিয়েছে রামগড় সরকারী ডিগ্রী কলেজ। চারটি বিষয়ের কোনো শিক নেই। ২১ শিকের মধ্যে আছেন মাত্র ৬ জন শিক। শূণ্য রয়েছে ১৫জন। শিক শূণ্যতার কারণে অচল হয়ে পড়েছে কলেজের শিা কার্যক্রম। ফলে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা চরম দুশ্চিতার মধ্যে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন শিক নিয়োগ না দিয়েই কর্তৃপ একের পর এক শিককে অন্যত্র বদলি করায় কলেজটিতে শিক শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ গত জানুয়ারী মাসে অধ্য সহ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুজন এবং ইসলামের ইতিহাস বিভাগের একজন শিক কে অন্য কলেজে বদলি করা হয়। এর মধ্যে শুধু অধ্যরে শূণ্য পদের নিয়োগ দেয়া হলেও বর্তমানে দর্শন, ব্যবস্থাপনা, হিসাব বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে কোনো শিক নেই। প্রত্যেক বিষয়ের দুটি করে পদ থাকলেও বাংলা, অর্থনীতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে কর্মরত আছেন একজন করে শিক। অধ্য ও উপাধ্য বর্তমানে শূণ্য রয়েছে। সহযোগী অধ্যাপক দাপ্তরিক কাজে প্রায় ব্যস্ত থাকেন। অবশিষ্ট ৫জন শিক দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগের কাস এবং ¯œাতক শ্রেনীর প্রথম বর্ষ ও তৃতীয় বর্ষের মানবিক, সমাজ বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের কাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে শিা কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে।
কাস না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজ ক্যাম্পাসে ঘুরাফেরা ও আড্ডা দিয়ে সময় কাটায়। হতাশাগ্রস্থ শিার্থীরা কলেজ বিমুখ হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্টরা এ প্রতিনিধিকে জানান, শিক শূণ্যতা পূরণের আবেদন জানিয়ে কলেজ কর্তৃপ একাধিক বার মহাপরিচালকের দপ্তরে পত্র পাঠিয়েছেন। এছাড়া গত বছরের ২৮ জনু পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষযক ট্রাস্কফোর্স চেয়ারম্যান যতীন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি এবং ১৮ জুলাই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার শিক নিয়োগের ব্যাপারে পদপে নেয়ার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন। কিন্তু এর পর দুইজন শিককে নিয়োগ দেয়া হলেও পরবর্তীতে অন্যত্র বদলী হয়ে যায়। অপরদিকে রামগড়ে ৭১’র স্মৃতি ভাস্কর্য্য বিজয় উদ্বোধনকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক আনিস-উল-হক ভূইয়া রামগড়বাসীর প থেকে সরকারে প্রধানমন্ত্রীর জন প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বরাবরে রামগড় সরকারী ডিগ্রী কলেজের শিক শূণ্যতা পূরণের জোর দাবী জানানো হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক শূণ্যতা পূরনের দাবিতে ইতিমধ্যে আমার অফিসে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বরাবরে রামগড় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর মাধ্যমে ষ্মারক লিপি গ্রহন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান,যথাযথ কতৃপে সহযোগিতায় শিক শূণ্যতা বিযয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান।
এদিকে ১৯৯৫-৯৬ শিাবর্ষে বিএসসি কোর্স চালুর অনুমতি পাওয়া গেলেও শিক নিয়োগ না দেয়ায় প্রায় একযুগের বেশি পার হলেও ¯œাতক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা যায়নি। ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা নির্মিত তিনতলা বিশিষ্ট বিএসসি ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সংশ্লিষ্টরা এ প্রতিনিধি কে জানান, তৃতীয় শ্রেনীর দুইজন ও ৪র্থ শ্রেনীর তিনজন কর্মচারীর পদগুলি দীর্ঘদিন ধরে শূণ্য রয়েছে। এ দিকে শিক নিয়োগ ত্রবং বিএসসি কোর্স চালুর দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড সহ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ মানববন্ধন এর মাধ্যমে জোর দাবি জানিয়ে আসছিল।