ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : ব্রিটিশ লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, যদি ব্যক্তিগত সম্পদ অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে, তবে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ক্ষমা চাওয়া উচিত। প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারির ঘটনায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাম আসার পর করবিন এ কথা বলেন।
এবার ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতো ব্যক্তির নাম রয়েছে। মোট ১২০ জন রাজনৈতিক নেতার নাম রয়েছে এ তালিকায়।
লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন আরও বলেন, শুধু রানি নন, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য অফশোর কোম্পানিতে যারাই বিনিয়োগ করেছেন, তাদের সবারই ক্ষমা চাওয়া উচিত। এ বিষয়ে স্পষ্ট তদন্ত প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে না, কর ফাঁকি দিয়ে অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের ফলে ব্রিটিশ সমাজে কি ধরনের প্রভাব পড়ছে, সেটিও চিহ্নিত করতে হবে।
ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা গেছে, ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ব্যক্তিগত অর্থের প্রায় এক কোটি পাউন্ড অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ হয়েছে। এসব অর্থে কেম্যান আইল্যান্ড ও বারমুডায় রানির নামে আলাদা তহবিল তৈরি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেরেমি করবিন বলেন, ‘যদি তারা খুব ধনী ব্যক্তি হন এবং এ দেশে কর এড়াতে অন্য কোথাও অর্থ রাখতে চান, তবে কে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে? স্কুল, হাসপাতাল ও অন্যান্য জন পরিষেবা এবং জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই ঘাটতি অন্যদের পূরণ করতে হচ্ছে।প্যারাডাইস পেপারসের খবরটি আমাদের বেশ ধাক্কা দিয়েছে।’
তবে ওই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর জেরেমি করবিনের এক মুখপাত্র দাবি করেন, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ক্ষমা চাইতে বলেননি লেবার পার্টির এই নেতা। তিনি বরং অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার ফলে সমাজের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা চিহ্নিত করার কথা বলেছেন।
এদিকে রানির এস্টেটের মুখপাত্র বলেন, রানির সম্পদের বেশ কিছু অংশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা আছে এবং এসব বিনিয়োগের সবই বৈধ ও পুরোপুরি নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
প্যারাডাইস পেপারস নামের এসব গোপন নথি প্রথমে জার্মান দৈনিক সুইডয়চে সাইটংয়ের হাতে আসে।পরে সেসব নথি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টসের (আইসিআইজে) হাতে তুলে দেয়।