রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষা গত ১৯ নভেম্বর ১২ টি কেন্দ্রে অনূষ্ঠিত হয়। প্রথম বারের মতো আলী আকবর এমপি অটিস্টিক মেমোরিয়াল প্রতিবন্ধি স্কুলের প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীরাও অংশ গ্রহন করেন।
প্রথম দিন ইংরেজি বিষয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৫১৭৩ জন, বালক ২৪৩৯ জন, বালিকা ২৭৩৪ জন, ইবতেদায়ী ৪৫১ জন। প্রাথমিকে ২২১ জন অনূপস্থিত ইবতেদায়ী ৮৪ জন অনূপস্থিত। মডেল সরকারি বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে সংরক্ষিত ৩০১ আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা পরিদর্শন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন কেন্দ্রে সরকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ সদস্যরা পরিদর্শন করেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল উদ্দীন চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে পরীক্ষা অনূষ্ঠিত হয়েছে। তবে নেকমরদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্ডেন শিক্ষকদের মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্ঠি হয়েছিল তা সমাধান করা হয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গীতে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামী হয়রাণীর শিকার
রাণীশংকৈল প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামী হয়রাণীর শিকার হয়েছেন। স্ত্রী পরকিয়ার দায় এড়াতে মনোমালিন্যেও সুযোগে বেকায়দায় ফেলার জন্য স্বামীকে মামলা মোকদ্দমার ফাঁদে ফেলেছে। স্বামী সুবিচারের আশায় প্রহর গুনছেন।
সরেজমিন ও প্রাপ্ত তথ্যমতে, বালিয়াডাঙ্গী ফুলতলা গ্রামের আঃ আজিজ পুলিশের মেয়ে আরবীর সাথে নিলোবপুর গ্রামের আঃ আজিজের ছেলে ইসমাইল হোসেন’র ২ই মার্চ’১২ বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর স্ত্রী আরবীকে নিয়ে ইসমাইল তার কর্মস্থল ময়মনসিংহ যান। সেখানে মাস তিনেক সংসার করা কালে স্ত্রীর একাকি চলাফেরা না করার জন্য বলা হলে সংসারে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তার দৃষ্টিকটুর চলাফেরা বন্ধ না করায় দ্বন্দ আরো চরমে পৌঁছে। বিভিন্ন ছলচাতুরি করে আরবী এক সময় বাবার বাড়ি এসে স্বামীর সংসারে না যাওয়ার কথা সাফ জানিয়ে দেয়। এদিকে সে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আরবীর পরকিয়ার ব্যাপারে উপজেলার কালমেঘ সনগাওয়ের মোকলেসুরের সাথে কথা হলে তার সাথে পরকিয়ার সত্যতা স্বীকার করে। আলাপচারিতায় মোকলেসুর জানায় গত ৮ই অগাষ্ট’১৭ ইং তারিখ আরবি তাকে হরিপুর বটতলিতে তার মামা সাজাহান দর্জির দোকানের পিছনে রুনার বাড়ি নিয়ে যায়। সেখানে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে তার মা আমাদের সেখান থেকে বালিয়াডাঙ্গী নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বড়বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আকরাম হোসেনের কাছে তার মেয়ের সাথে আমার সম্পর্কের ব্যাপারে অভিযোগ করে। এনিয়ে ইউনিয়ন বড়বাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে বিচার শালিস হয়।
স্বামী সংসারের সামাজিকতাকে উপেক্ষা করে এক পর্যায়ে আরবী তার স্বামী ইসমাইল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বালিয়াডাঙ্গী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২৫/০২/২০১৬ ইং তারিখ একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩০০/১৬। স্বামী তার স্ত্রীকে সংসারে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বড়বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের স্মরণাপন্ন হন। ইউপি চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন স্থাণীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণের সহায়তায় আপোষ মিমাংসার পদক্ষেপ নেন। উভয় পক্ষের গৃহিত সিদ্ধান্তের ফলে পুনরায় সংসার করার সিদ্ধান্ত হলে আপোষ মিমাংসার কাগজ পত্র তৈরী করা হয়। কিন্তু আপোষ মিমাংসা হলেও মেয়ে পক্ষ বিভিন্ন ছল চাতুরী করে কাল ক্ষেপন করে। এক পর্যায়ে বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে মামলার চার্জসীট পাঠানোর পদক্ষেপ নেয়। অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, ঠাকুরগাও আসামী পক্ষকে অব্যাহতি দিয়ে মামলাটি নিস্পত্তি করেন। আরবী এতেও ক্ষান্ত না হয়ে স্বামীকে বিপাকে ফেলার কুমতলবে পুনরায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২৪৭/১৭। মামলাটি বর্তমানে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, ঠাকুরগাওয়ে চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আকরাম হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু মেয়ে পক্ষ এক পর্যায়ে মামলা মোকদ্দমায় গিয়ে তা আর সম্ভব হয়নি। পরকিয়ার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন এমন একটি অভিযোগ মেয়ের মা করেছিল তা আপোষ মিমাংসা করা হয়েছে।