আলতাফ হোসেন সরকার, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা ঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ফাস্ট এক্সারসাইজ সেমিনারে খাবার খেয়ে ১০টি পরিবারের ২৪ জন অসুস্থ্য হয়ে রাজারহাট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। গতকাল আরও এক শিশু ও শিশুর মা ওই খাবার খেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অসুস্থ্য রোগীদের পরিবারের দাবী, রাজারহাট উপজেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আয়োজনে হরিশ^র তালুক এলাকার আবুল কাশেম মোল্লার বাড়ীতে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সিডিএমসি অফিসে গত ২০ নভেম্বর সোমবার বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ক (ফাস্ট এক্সারসাইজ) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথিসহ ৩০ জন সদস্য ওই সেমিনারে অংশগ্রহন করে। ওই সেমিনারে দেয়া দুপুরের খাবার কাচ্চি বিরাণি সরবরাহ করা হয়। সরবরাহকৃত খাবারগুলো সদস্যরা বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে খায়। ২-৩ ঘন্টা পর পর্যায়ক্রমে তাদের পেটব্যথা ও বমি হওয়ার পর ডায়রিয়া শুরু হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাদের অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে পরদিন ২১ নভেম্বর বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে রাজারহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্তরা হলো-ওই এলাকার মাইদুল ইসলামের কন্যা মিম (৮), তার স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৩০), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী জমিলা বেগম (৩৫), তার কন্যা রাবেয়া বেগম (১৮), রেহানাজ পারভীন (২১), ইব্রাহিম (৪৫), তার কন্যা মাকসুদা (৯), মাসুমা বেগম (১৮), আঃ কাদের মোল্লা (৭০), ফজললু হকের পুত্র মোজাম্মেল (১৩), আঃ লতিফ মোল্লা (৩৫), সুফিয়া বেগম (৪৫), ইউনুছ আলী (৩৫), তার কন্যা ইশি (৩), নবীজন বেগম (৩২), সবুরা বেগম (৬০), হযরত আলী (৫৫), সফিকুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা (২৮) ও তার শিশু পুত্র খাদেমুল (৬)সহ ২৬জন। আক্রান্ত কলেজ ছাত্রী মাসুমা, রাবেয়া ও মোজাম্মেল বলেন, সোমবার বিকালে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সেমিনারের ২পিচ খাসীর মাংস, একটি ডিম সালাদসহ কাচ্চি বিরাণি ও প্রাণ আপ খাই। ঘন্টা দুয়েক পর আমাদের পেট ব্যথা এবং বমি বমি ভাব শুরু হয়। এরপর শুরু হয় পাতলা পায়খানা ও বমি। বাড়ীতে প্রাথমিক চিকিৎসা করে আরো বেশী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে দ্রুত মঙ্গলবার বিকালে আমাদেরকে রাজারহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউপিও শামীম আহসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার জানান, জেলা সদর কুড়িগ্রাম হতে ‘ঢাকা বিরানী হাউজ’ থেকে কাচ্চি বিরাণির প্যাকেট আমরা সরবরাহ করেছিলাম। এ খাবার সেমিনারের সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়। আমি হোটেলের মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মো. শহিদুল্লাহ্ জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এটি খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হতে পারে। মঙ্গলবার রাতে ৪ সদস্যের একটি টিম তৈরি করে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।# (ছবি সংযুক্ত)