আলতাফ হোসেন সরকার, রাজারহাট(কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আবাদি জমির চাহিদার ক্রমে অতিরিক্ত কীট নাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করছে কৃষক। ফলে নষ্ট হচ্ছে মাটির উর্বরা শক্তি। এ কারনে মাটি হয়ে রাসায়নিক সার সির্ভর। এখনকার কৃষকরা মাটির উর্বরতা বাড়তে ব্যবহার করছে নাইট্রোজেন ফসরাস ও পটাশিয়াম। আর পরিামান মতো ব্যবহার করা হচ্ছে না ক্যালসিয়াম জিংক। আয়রন কপার ম্যাগনেসিয়াম সহ ১৩টি উপদান। এই উপজেলার কৃষকরা ধান গম ভুট্টা টমেটো শরিষা আলু বেগুন মরিচ সহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করে থাকে। প্রতি বছরেই ক্ষেতের ফলন বারাতে ব্যবহার করছে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার। কৃষকরা কৃষি অফিসের পরামর্শ ছাড়াই জমিতে দ্বিগুন হারে সার ও কিটনাশক ব্যবহার করছে। কিন্তু কৃষি জমিতে অর্ধিক রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার কখনই মাঠির জন্যে ভাল না। তার পরেও জমিতে প্রয়োজনিয় পুষ্টিঘাটতি মিটাতে জৈব্য সারের পাশাপাশি রাসায়নিক সার ববহার করছে। এর মধ্যে একক ভাবে ইউরিয়া সারের ব্যবহার করছে সরচেয়ে বেশি। এতে মাটিতে কিছুই থাকে না
কৃষি বিভাগ জানায় মাটিতে জৈব্য উৎপাদন কিংবা জৈব্য সারের যে প্রোয়জনীয়তা রয়েছে তা মিটাতে হবে। জমিতে চাষ আবাদ সময় একবার সার ব্যবহার করলে সেই মাটির গুনগত মান আর ভাল থাকে না। ফলে পরবর্তিতে চাষাবাদ করতে হলে আবারো সার প্রোয়গ করতে হয়। জমিতে অধিক পরিমান সার প্রয়োগের ফলে জমির মাঠি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মাতিতে জৈব্য কার্বনের পরিমান আশংকা জনক কমে যাচ্ছে। সারে ব্যবহারিত হচ্ছে উচ্চমাত্রার রাসায়নিক পদার্থ ফলে ভুমির অরগানিক উর্বরতা কমে যাচ্ছে। কৃষকদের পর্যপ্ত ধারনা না থাকায় আরো দিন দিন এর প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পরেছে। কৃষক জমিতে ইচ্ছামতক কীটনাশক ব্যবহার করে থাকে। কত টুকু জমিতে কি পরিমান কিটনাশক সার ব্যবহার করা উচিত কিংবা ফসল তোলার আগে থেকে সবজি ক্ষেতে কীটনাশক দেওয়া বন্ধ করা দরকার সে ব্যপারে তাদের কোন প্রতিষ্ঠানিক ধারনা নাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ষষ্টি চন্দ্র রায় জানান জমিতে রাসয়নিক সার কীট নাশক ব্যবহার বিষয়ে নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে। তার পরেও আগের তুলুনায় এলাকার কৃষক চাষাবাদে অনেক সচেতন রয়েছেন।