জালাল আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগকারী সদর উপজেলার কদুপুর গ্রামের মৃত সুফি মিয়ার তৃতীয় স্ত্রী মনি বেগমের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত চলছে। মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ ও একটি গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কে বা কারা তাকে সাজানো ধর্ষণ মামলা দায়ের করতে প্ররোচনা বা সহযোগিতা করেছিল, সেদিকে ল্য রেখে তদন্ত কার্যক্রম এগুচ্ছে বলে তদন্তকারী সংস্থার সূত্রগুলো জানায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে কোনো সময় মনি বেগম ও তার সহযোগিদের আটক করতে পারে গোয়েন্দা সংস্থা এমনই আভাস দিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৩১ আগস্ট রাত ১০টায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কদুপুর গ্রামের আলহাজ্ব আব্দুল বাছিত সুরুজ মিয়ার (৭০) ও তরুণ সমাজসেবক গৌছুল হোসেনের (৪০) বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন একই গ্রামের মৃত সুফি মিয়ার তৃতীয় স্ত্রী মনি বেগম।
কেনো ও কি কারণে এবং কাদের ইন্ধনে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিল তাও জানতে চায় এলাকাবাসী। সাজানো ধর্ষণের অভিযোগকারী মনি বেগম ও তার ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারের কাছে এলাকাবাসী লিখিতভাবে আবেদন করেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন ও উপ-পরিদর্শক তাপস জানান, সুরুজ মিয়া ও গৌছুল হোসেনের বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছিল, তা মিথ্যা প্রতীয়মান হয়েছে। মনি বেগমকে কদুপুর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য ইউসুফ মিয়ার জিম্মায় দিয়ে আসা হয়েছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুর রহমান জানান, গত ৩১ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টায় কদুপুর গ্রামের মৃত সুফি মিয়ার স্ত্রী মনি বেগম থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন, সুরুজ মিয়া ও গৌছুল হোসেন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি তাৎণিকভাবে তদন্ত করার জন্য এসআই তাপস ও এসআই গিয়াসকে সঙ্গীয় ফোর্স দিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠাই। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের লোকের বক্তব্য নেয়া হয়। তদন্তকালে ঘটনাটি সাজানো বলে প্রতীয়মান হয়। সে কারণে মনি বেগমের অভিযোগপত্র এফআইআরভুক্ত করা হয়নি। মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম জানান, কদুপুর গ্রামবাসীর প থেকে প্রেরিত আবেদনপত্রটির প্রেেিত দু’টি সংস্থা তদন্ত কাজ চালাচ্ছে।