স্টাফ রিপোর্টার, ৫ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : রাজধানীর মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে ও গুলশানে ৯টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এসময় পিকেটাররা বাসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ২টি বাসের জানালার কাঁচ ভেঙ্গে যায়। এছাড়া মিরপুরে ও কারওয়ানবাজারে দুটি বাসে আগুন দেয় হরতাল সমর্থকরা। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
বিএনপির ডাকা হরতালে মঙ্গলবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে এঘটনা ঘটে। পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
সকাল পল্লবীতে হরতাল সমর্থনে মিছিল বের করে জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল। তবে পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দিতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাস্তায় যান চলাচল কম থাকলেও পরে তা বাড়তে থাকে। জননিরাপত্তায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, গুলশান-১ নম্বরে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ, ৩টি অটোরিকশা এবং কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
হরতালের সমর্থনে সকালে মহানগর উত্তর ছাত্রদল এ মিছিল বের করে ও ভাঙচুর চালায়। এসময় তিতুমীর কলেজের আবদুল্লাহ নামে এক ছাত্রসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া
পুলিশের গুলিতে সারাদেশে ‘নারকীয় হত্যাকাণ্ডের’ প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা এ হরতাল ডাকে বিএনপি।
গত ১ মার্চ বিকেলে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলেনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ হরতালের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে দেশবাসীকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
এর আগে রবি ও সোমবার সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকে জামায়াতে ইসলামী। এর ফলে রোববার থেকে মঙ্গলবার জামায়াত ও বিএনপির ৬০ ঘণ্টার হরতালের কবলে পড়েছে দেশ।