ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : মিয়ানমার সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনী বুধবার ভোরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে দেশটির সেনা সেনা সূত্র জানিয়েছে। এই অতর্কিত এ হামলায় ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড(এনএসসিএন-খাপলাং) বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, বুধবার ভোর ৪টা ৪৫ মিনিট ভারতীয় বাহিনী এই অভিযান চালায়। ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের লাংখু এলাকায় এই অভিযান হয়। দু’পক্ষে তীব্র গোলা-গুলি বিনিময় হয়েছে। এনএসসিএন-খাপলাং বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে ভারতীয় বাহিনীর দাবি। কিন্তু যে প্যারা-কম্যান্ডো বাহিনী অভিযান চালিয়েছে, সেই বাহিনীর সদস্যরা অক্ষত ফিরেছেন বলেও সেনার তরফে জানানো হয়েছে।
নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির সঙ্গে ভারত সরকারের অস্ত্রবিরতি চুক্তি প্রায় দেড় দশক বলবৎ ছিল। ২০০১ সালে অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে সই করেছিল সংগঠনটি। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঠিক আগেই ২০১৫ সালে সংগঠনটি চুক্তি ভেঙে দেয়। নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরে ভারতীয় বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে শুরু করে তারা।
২০১৫ সালের জুনে মণিপুরের চান্দেল জেলায় ভারতীয় বাহিনীর ৬ ডোগরা রেজিমেন্টের কনভয়ে হামলা চালায় এনএসসিএন-খাপলাং। ১৮ জওয়ান নিহত হন সেই হামলায়। তারপর থেকেই এনএসসিএন-খাপলাং এর বিরুদ্ধে অভিযান তীব্র করা হয়।
মিয়ানমারের দুর্গম পাহাড়-জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়েই নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে নাশকতা চালায় নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এনএসসিএন (খাপলাং)-এর প্রতিষ্ঠাতা এস এস খাপলাংও মিয়ানমারেই থাকতেন। চলতি বছরের জুনে তিনি মারা যান।
নাগা বিচ্ছন্নতাবাদীদের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য সীমান্ত পেরিয়ে মায়ানমারের ভিতরে ঢুকে আগেও অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই ভারত এই অভিযানগুলি চালায়। এ বারের অভিযানের বিশদ তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে ভারতীয় বাহিনী খুব বড় সাফল্য পেয়েছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে।