অমিত বনিক অপু, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ভারতীয় নাগরিক জিতু বৈরাগী এখন ঝালকাঠিতে। হেরোইন ইয়াবা আর ফেন্সিডিল ব্যবসার নাটের গুরু জিতু বৈরাগী বছর দেড়েক পূর্বে খেপুপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে পাড়ি জমায়। কুয়াকাটায় থেকে নিজেকে এতিম পরিচয় দিয়ে স্থানীয়দের মনে স্থান করে নেয় নিজেকে। পাশাপাশি যাদু আর নৃত্য পরিবেশন করে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিবর্গের কাছে। এক পর্যায় কুয়াকাটাস্থ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটে নৃত্য শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এই মুখোশকে সামনে রেখে সে চালিয়ে যায় রমরমা মাদক ব্যবসা। বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থা দীর্ঘদিন পর্যবেণ শেষে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্যসহ পটুয়াখালী র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় জিতু বৈরাগী। তখন র্যাবকে সে জানায় বাংলাদেশে তার কেউ নেই সে ভারত থেকে এ দেশে চলে এসেছে। দীর্ঘদিন পর কারাগার থেকে বের হয়ে হঠাৎ চলে আসে ঝালকাঠিতে। মাদকের সেভ জোন হিসেবে সে বেছে নেয় এই শহরকে। তবে ধারণা করা হচ্ছে ঝালকাঠিতে তাকে আনার পিছনে দাতা হিসেবে কেউ নেপথ্যে কাজ করছে। এই দাতাই হয়তো তাকে কুয়াকাটায় আশ্রয় দিয়েছে এমনই মন্তব্য অনেকের। শ্রী শ্রী জগদ্বার্থী পূজা উপলক্ষে ঝালকাঠি চাঁদকাঠি এলাকার পতিত পবন (বাগানবাড়ি) মন্দির কমিটি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন এই জিতু বৈরাগী। অনুষ্ঠান শেষে সদর থানা পুলিশের একটি দল বাগান বাড়ি মন্দিরে গেলে জিতু সেখান থেকে সটকে পরে। ঝালকাঠিতে কোন আস্তানা গড়তে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ঝালকাঠি থানার ওসি আঃ মান্নান জানান, ঝালকাঠি একটি ছেলেকে হলুদ টি–শার্ট পরিহিত অবস্থায় দেখে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে বাগানবাড়িতে নৃত্য করছে। সেখানে পুলিশ গিয়ে জিতুকে খুঁজেছে, পায়নি। তবে জিতু বৈরাগী পুলিশের নজরদারিতে আছে বলে জানিয়েছেন ওসি।