সুদর্শন আচার্য্য, মদন (নেত্রকোণা) ঃ নেত্রকোণা জেলার মদন উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে দীর্ঘদিন ধরেই ডাক্তার সংকট থাকায় চিকিৎসা মান ভেঙ্গে পড়েছে। এখানে প্রতিদিন জরুরী ও বহির্বিভাগে শতাধিক লোকজন হাওরাঞ্চল থেকে চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু ডাক্তার না থাকায় সাধারণ মানুষ সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি ডাক্তার না পাওয়ায় সাধারণ মানুষের একমাত্র ভরসা বাহিরের প্যাথলজি ও ক্লিনিকগুলো। ফলে দ্বিগুণ টাকার বিনিময়ে তাদের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সর্বমোট ২৯জন ডাক্তার কাগজপত্রে থাকলেও বাস্তবে তার উল্টো চিত্র। সোমবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা চানগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন জানান, আমার বাচ্চা বেশ কদিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত। সোমবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে হাসপাতালে এসে কোন ডাক্তার না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাহির থেকে ঔষধ কিনে নিয়ে বাড়ি যেতে হয়েছে। ৮নং ফতেপুর ইউনিয়নের নয়ন মিয়া জানান, আমার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকার ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কোন ডাক্তার না পেয়ে বাহিরের ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। মদন পৌরসভার বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ জানান, আমি ঈদের আগে সড়ক দূর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কোন ডাক্তারকেই পাইনি। এমনকি বাহির থেকে ঔষধ কিনে আনতে হয়েছে। হাসপাতাল থেকে কোন ঔষধই পাইনি। ডাঃ ফজলুল বারী ইবান ও ডাঃ আনোয়ার হোসেন ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে নেত্রকোণা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, কেন্দুয়া হতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে যোগদান করেছে। দুই-তিন দিনের মধ্যেই আসবে। আসলে চিকিৎসার মান ভাল হবে।