
নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে নগরীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে বিভাগীয় ১৮ দল এ সমাবেশের ডাক দেয়।
বেলা আড়াইটা নাগাদ তিনি সমাবেশ স্থলে পৌঁছবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রাজশাহীবাসী। এরই মধ্যে বর্ণিল সাজে সেজেছে পুরো নগরী। প্রবেশ পথে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য তোরণ। নগরী জুড়ে রয়েছে পোস্টার ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, বিলবোর্ড ও ব্যানার।
রাজশাহী মহানগর বিএনপি নেতারা জানান, বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে এরই মধ্যে নগরীতে তিন শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া রাস্তার পাশে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার টানানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে কয়েক লাখ পোস্টারও।
এদিকে সমাবেশের জন্য রাজশাহী শতভাগ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বিভাগীয় আঠারো দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনু।
তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে খালেদা জিয়া যে সাংগঠনিক সফর করছেন রাজশাহীতে। সেই সমাবেশে অন্তত ১৫ লক্ষাধিক লোক সমাগম হবে বলে আমরা আশা করছি।
অন্যদিকে, রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। জোটের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনেরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এ প্রবীণ নেতা।
এছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি নাদিম মোস্তফাসহ এ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক নেতারা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন সমাবেশ সফল করতে।
থেমে নেই জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে আজকের এ সমাবেশে জামায়াতের অন্তত ৫০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী অংশ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য নগরের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক এম নজরুল ইসলাম।
এছাড়া ইসলামী ছাত্রশিবির আলাদাভাবে আরও ৫০ হাজার কর্মী সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বলে নগর শিবিরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের ডিজিটাল ব্যানারও শোভা পাচ্ছে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবি উঠে এসেছে ওই সব প্রচার পত্রে।
রোববার ১৮ দলের সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান মিনু জানান, আজকের সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের জন্য নগরীর পয়েন্টে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বসানো হয়েছে অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প। যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নগরীর বাইরের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সমাবেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। এছাড়া সমাবেশে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য শোনার জন্য নগরজুড়ে আড়াই শতাধিক মাইক লাগানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আজকের এ সমাবেশ সম্পন্ন করতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়।
এ বিষয়ে মহানগর পুলিশের (আরএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) শাহ গোলাম মাহমুদ বলেন, সমাবেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে র্যাব-পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও।