ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : মুসলমানদের নবী মুহাম্মদের (সা.) বাণী ব্যবহার করে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী যেন জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদকে জায়েজ করতে না পারে সেজন্যে সৌদি সরকার একটি নতুন ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে। বাদশাহ সালমান পবিত্র মদিনা নগরী থেকে জারি করা এক ফরমান বলে এই ঘোষণা দেন। সারা বিশ্বের নামকরা ইসলামী চিন্তাবিদদের এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ করা হবে।
সৌদি তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সহিংসতা এবং অপরাধের পক্ষে সাফাই হিসেবে যেসব ভূয়া ইসলামী লেখার বরাত দেয়া হয়, সেগুলো নির্মূল করা হবে এই প্রতিষ্ঠানের কাজ।
নবী মুহাম্মদের (সা.) যেসব বাণী সংকলন করা হয়েছে, সেগুলি ‘হাদিস’ হিসেবে পরিচিত। ইসলামে কোরআনের পর এই হাদিসকেই বিভিন্ন বিষয়ে ধর্মীয় নীতি বা ব্যাখ্যার জন্য নির্ভরযোগ্য সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় । তবে বিভিন্ন রকম হাদিসের ব্যাখ্যা নিয়ে ধর্মীয় পন্ডিতদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ মনে করে জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো যেভাবে হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে সন্ত্রাসবাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করে সেটা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা দরকার।
উল্লেখ্য, আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো নবী মুহাম্মদের (সা.) হাদিস এবং অন্যান্য ধর্মীয় লেখা ব্যাখ্যা করে তাদের কার্যক্রমের যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করে।