স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা দেশীয় উৎপাদনের পাশাপাশি ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের সংকট থাকা স্বত্বেও বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ভারত নির্ভরতার কারণেই পেঁয়াজের দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফউদ্দিন নিজানের লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের নাসিক, বেঙ্গালুর ও পাটনা অঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ায় সেদেশের সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের আমদানি কমিয়ে দেওয়ায় দাম বেড়ে গেছে।
এ সংকট উত্তরণে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের বাজার যৌক্তিক পর্যায়ে স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে উৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারে অবৈধভাবে পেঁয়াজের মজুদ করে রাখা হয়েছে কী না তা খতিয়ে দেখতে মনিটরিং সেল জোরদার করার মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাংসদ মো. মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম মানুষের নাগালে রাখতে টিসিবির মাধ্যমে পণ্যের মজুদ গড়ে তুলা এবং যৌক্তিক মূল্যে ভোক্তাদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
রেহেনা আক্তার রানুর লিখিত প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ডেসটিনিসহ এর সহযোগী ৩৪ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত চলছে। এ ধরনের এমএলএম কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কার্যক্রম (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ২০১৩ জারি করা হয়েছে।