এন এম জিকু, ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মরণ নেশা ইয়াবায় সহ মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ উঠতি বয়সি যুবকরা। এ উপজেলায় নেশার ছোবল আশংকা জনক হারে বেড়ে চলছে। যার ফলে সমাজে চুরি, ডাকাতি রাহাজানি সহ নানা অপর্কম ক্রমন্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে মাদক বিক্রেতাদের নাম পরিচয় সবার জানা থাকলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোয়ার বাহিরে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মাদক বিক্রেতারা এসব মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বীরদর্পে। এতে সচেতন মহল ও অভিবাবকরা তাদের উঠতি বয়সি সন্তানদেরকে নিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। এতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তেমন কার্যকরী ভূমিকা নেই বললেই চলে। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান দিলেও অজ্ঞাত কারনে তা সফল করতে পারেনি প্রশাসন।
সূত্রমতে জানা যায়, উপজেলার ২০টির বেশি স্পটে ইয়াবা (টেবলেট), ফেন্সিডিল, হেরোইন, পেথডিন, ইনজেকশন, দেশি-বিদেশী মদ, গাঁজা সহ বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এখন কুঞ্জেরহাট বাজারে মাদকের প্রাণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। চট্রোগ্রাম থেকে সরাসরি নিরাপদ রুঢ হিসাবে নদী পথে হাকিমুদ্দিন, চেয়ারম্যান বাজার সহ কয়েকটি স্থান দিয়ে কুঞ্জেরহাট বাজারে প্রবেশ করে। এখান থেকে উপজেলার কাচিয়া মিঝির দোকান, লেংড়ার দোকান, খাসমহল বাজার, চেয়ারম্যান বাজার, কাজির হাট বাজার, হাকিমুদ্দিন, মনিরাম বাজার, বোরহানগঞ্জ বাজার, রাণিগঞ্জ বাজার, দরুন বাজার, সোনা বাজার, নুরমিয়ার হাট সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে মাদক ছেয়েগেছে। মাদক বিক্রেতাদের মধ্যে ছোট্র ছেলেদের পাশাপাশি নারী ও শিশু রয়েছে। সন্ধ্যার পর গুরুত্বপূর্ণ পৌর শহরে সড়ক সহ উপজেলার বাজার গুলোতে গাঁজার ঘ্রানে হাটা যায় না। বিড়ি সিগারেটের মত এসব নেশা জাতীয় দ্রব্য এখন বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সেবন চলছে। এর থেকে বাদ যাচ্ছে না স্কুল, কলেজের পড়–য়া শিক্ষার্থী সহ যুব সমাজ। যার ফলে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি সহ নানা অপর্কম উদ্বেগ জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে গত মাসের উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে বলেন, আমাদের ইউনিয়ন গুলোতে মাদক ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। আমাদের সন্তান ও শিক্ষার্থী ও উঠতি বয়সি যুবকরা নেশার দিকে ধাবিত হচ্ছে। সমাজে চুরি, ডাকাতি রাহাজানি সহ নানা অপর্কম উদ্বেগ জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু আমরা কিছু করতে পারছি না। তাই তারা দ্রুত মাদকের ব্যাপারে কার্যকরী ভূমিকা নেওয়ার দাবী জানান সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে। যদিও উপজেলা প্রশাসন তখন চেয়ারম্যান বৃন্দকে মাদক দমনে আশ্বস্ত করলেও অদ্যবধি কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, আমাদের মাদকের উপর প্রতিনিয়ত টহল অব্যাহত রয়েছে। বেশ কিছু অভিযান দিয়ে নেশা জাতিয় দ্রব্য সহ মাদক বিক্রেতাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী দিনেও অভিযান অব্যহত থাকবে।
এ ব্যাপারে ভোলা ডিবি দায়িত্বরত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, নেশা জাতীয় দ্রব্যের উপর আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।