স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার আধাবেলা হরতাল পালন করছে তিনটি বাম সংগঠন। ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই হরতাল পালিত হবে।বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টিসহ হরতাল ডাকা দলগুলো গতকাল বুধবার হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে মিছিল করেছে। এর আগে মঙ্গলবারও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামলে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছে সিপিবি। এই হরতালে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সমর্থন দিয়েছে।
গত ২৩ নভেম্বর রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সংবাদ সম্মেলন করে খুচরা পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ৩৫ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। যা ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
বিইআরসির পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই এদিন সন্ধ্যায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ৩০ নভেম্বর হরতালের ডাক দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে যে গণশুনানি হয়েছিল সেখানে আমরা এর বিরোধিতা করি। কারণ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষ চাপে পড়বে। অথচ কিছু কিছু জায়গায় সংশোধন করা হলে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়েও গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা যায়, সেটা আমরা ওখানে উপস্থাপন করেছি।’
সিপিবির এই নেতা বলেন, ‘হঠাৎ করে খুচরা পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ৩৫ পয়সা বাড়ানো হলে সাধারণ জনগণ অতিরিক্ত চাপে পড়বে, এরই প্রতিবাদে আমরা ৩০ নভেম্বর বেলা ২টা পর্যন্ত দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ হরতালের ডাক দিয়েছি।’
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। তাতে মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের খরচ বেড়েছিল ২০ টাকা; ৬০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারে খরচ বাড়ে কমপক্ষে ৩০ টাকা।
চলতি বছর মার্চে বিভিন্ন খাতে গ্যাসের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পর জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছিলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় বিদ্যুতের দামও সমন্বয় করা প্রয়োজন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আরেক দফা বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য কমিশন বিদ্যুৎ সংস্থা ও কোম্পানিসমূহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলা গণশুনানির আয়োজন করে। সেখানে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ ভোক্তা পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।