স্টাফ রির্পোটার : প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই বিএনপি রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া বিএনপি রাজাকারদের দ্বারা পরিচালিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, বিজয়ের মাসে বর্তমান সরকার ৪৮ বছরের আকাঙ্ক্ষিত প্রায় এগার হাজার রাজাকার, আল বদর, আল সামসদের তালিকা প্রণয়ন করেছে। ধারাবাহিকভবে এই সকল স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আমরা যখন বিজয়ের ঊষালগ্নে শহীদ স্মৃতিসৌধে ৩০ লাখ শহীদদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এই অপরাধী আর জঙ্গিবাদের আশ্রয়দাতা ওরা কি কথা বলছে। ওই মির্জা ফখরুল বলেছে, এই রাজাকারের তালিকা নাকি বিএনপিকে হেনস্থা, পর্যুদস্তু করার জন্য করা হয়েছে।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে কি মির্জা ফখরুল আপনি মেনে নিলেন? আজকের বিএনপি-রাজাকার দ্বারাই পরিচালিত হয়? তবে এটাও সত্য, মির্জা ফখরুল আপনি মির্জা রুহুল আমিনের সন্তান। মির্জা রুহুল আমিন ঠাকুরগাঁওয়ের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী ছিলেন, তার রক্তের উত্তরাধিকারী আপনি। আপনার মুখে তো রাজাকারদের পক্ষে কথা বের হবেই, এটাই স্বাভাবিক। কারণ এখনো আপনি বিএনপির মহাসচিব।’
বিএনপি রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শাহ আজিজ, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আব্দুল আলিমদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। আপনার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজামী, মুজাহিদকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন, আপনি এই লাইনে কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। আমরা বলতে চাই এই বিজয়ের মাসে, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই বাংলার মাটিতে কোনো ধরনের যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না।’
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের পূর্বসূরিরা জীবন দিয়ে আমাদের জন্য রাষ্ট্র তৈরি করে গেছেন। আমরা তাদের কাছে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, জীবন দিয়ে হলেও আমরা সেই ঋণ পরিশোধ করব। বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই, এই বাংলাদেশে কোথাও যুদ্ধাপরাধীদের জায়গা হবে না। বাংলাদেশের কোথাও তার রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না। বাংলাদেশের মানুষ তাদের গ্রহণ করবে না। এরকম একটি বাংলাদেশ আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করব।
বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকউজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, মির্জা আশফাক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।