স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের (বিএনএফ) আহ্বায়ক হিসেবে এর বিলুপ্তি ঘোষণা করেছেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সোমবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে তার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমি এই দলটির প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলাম, আর আমি নিজেই এর বিলুপ্তির ঘোষণা দিচ্ছি। যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমি বিএনএফকে সুপ্ত অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলাম, দলটির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আযাদ সেই উদ্দেশ্যকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে বিএনপিকে ধ্বংস করার প্রত্যয়ে লিপ্ত রয়েছেন। এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। জনগণের মধ্যে বিএনএফ নিয়ে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনের লক্ষ্যে বিএনএফ বিলুপ্তি করা হয়েছে।’
লিখিত বক্তব্যে নাজমুল হুদা বলেন, ‘বিএনএফের আহ্বায়ক হিসেবে আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করব, আমার অধীনে বিএনএফের যে নিবন্ধনের আবেদন করা হয়েছিল, তা নাকচ করে দিন। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি তা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’
সাবেক এই মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনএফকে রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল বিএনপিকে ধ্বংস করা নয়, ১৮-দলীয় জোটের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ১৯-দলীয় জোটের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ক্ষমতায় পৌঁছে দেয়া।
বিএনএফ থেকে তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপির সাবেক এই নেতা বলেন, ‘আমি বিএনএফের ঘোষণা দিয়েছিলাম এবং বর্তমানে যারা আছেন, তাদের নিয়োগ দিয়েছিলাম। এ সংগঠন থেকে আমাকে বহিষ্কারের কোনো আইনগত ভিত্তি তাদের নেই। সে জন্য তারা আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি এর কোনো প্রতিবাদ করিনি। আমি বিএনএফের আহ্বায়ক হিসেবে এ সংগঠনের বিলুপ্তি ঘোষণা করছি। এখন তারা মানবেন কি মানবেন না, এটা তাদের বিষয়। তারা চাইলে মামলা করতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের শর্ত মেনে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।’