স্টাফ রিপোর্টার, ১৪ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার সেখানকার অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তপথে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তারা।
গতকাল বুধবার রাজ্যসভায় এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর আর পাতিল। তবে সেই সঙ্গে এ অভিযানে যাতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত কর হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে জানান, মহারাষ্ট্রে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭ হাজার ৬৯৮ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে এবং ৩ হাজার ৯ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ধরতে মুম্বাইয়ের বিশেষ সেলে পুলিশ সদস্য বাড়ানোর মধ্য দিয়ে আরো শক্তিশালী করা হবে বলেও জানান তিনি। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে পুলিশের বিশেষ সেলগুলো মুম্বাইভিত্তিক হলেও রাজ্যের সব জায়গায় তাদের অভিযান চালানো এবং গ্রেপ্তারের ক্ষমতা রয়েছে।
পাতিল আরো বলেন, ‘যেসব ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানি অবৈধ অভিবাসীদের রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড এবং পিএএন কার্ড পেতে সাহায্য করে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশিরা সস্তা শ্রমিক হিসেবে রাজ্যে আসে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করে। যেসব নির্মাণ ঠিকাদার তাদের ভাড়া করে এখানে নিয়ে আসে তাদের দায়িত্ব ওই শ্রমিকদের কাগজপত্র যাচাই করা।’ এমন ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে নিয়োগকারীদের জন্য এসব শ্রমিকদের কাগজপত্র যাচাই করা কতোটা সম্ভব তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সমাজবাদী পার্টি এমএলএ আবু অসীম আজমি।
ভারতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গোয়েন্দা নজরজারি বাড়াতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে বলেও রাজ্যসভায় বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর আর পাতিল।