স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা) ঋণ দেবে ভারত। এটি ভারতের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত। এর আগেও এলওসির আওতায় দুইবার ঋণ দিয়েছে ভারত। এটি হবে তৃতীয় ঋণ।
আজ বুধবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়েছে।বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডির সচিব কাজী শফিকুল আযম ও ভারতের পক্ষে এক্সিম ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার এমডি নিজ নিজ পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়।বুধবার সকাল ১০টা ৫ মিনিটে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক শুরু হয়। এর আগে বেলা ১০টার দিকে ভারতের অর্থমন্ত্রী সচিবালয়ে পৌঁছান। এ সময় তাকে স্বাগত জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত অর্থসচিব মুসলিম চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বাংলাদেশের জন্য ৪৫০ কোটি ডলারের একটি ভারতীয় ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্টের ঘোষণা দেয়া হয়। এ চুক্তি সইয়ের ফলে বাংলাদেশকে ভারতের দেয়া সর্বমোট ক্রেডিট লাইনের পরিমাণ দাঁড়াল আটশ কোটি ডলার। তৃতীয় ডলার ক্রেডিট লাইন চুক্তি সইয়ে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার ভিত্তিক কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা অর্জন করবে।
জানা গেছে, এই চুক্তির মাধ্যমে গত সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের ঋণ দিল ভারত, যা তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) নামে পরিচিত।
এই অর্থ দিয়ে ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প রয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো নির্মাণ, পায়রা বন্দরের বহুমুখী কনটেইনার টার্মিনাল, অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন, সড়ক ও রেলপথ উন্নয়নসহ বড় অবকাঠামো নির্মাণের প্রকল্প।
কোনো ঋণচুক্তির আওতায় এটিই হচ্ছে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় ঋণ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে এক হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের (বাংলাদেশের টাকায় যা প্রায় ৯২ হাজার কোটি) ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ।
আগের দুটি এলওসিতে মোট ৩০০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি হয়েছে। গত জুন মাস পর্যন্ত প্রথম এলওসির মাত্র ৩৫ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে। প্রথম এলওসির ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে আটটি প্রকল্প শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় এলওসির কোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড় হয়নি।