ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : এ ধরনের ঘটনা শুধু সিনেমা, নাটক এবং গল্প-উপন্যাসেই দেখা যায়। জীবনের মায়া না করে পানিতে লাফিয়ে পড়ে মানুষের জীবন বাঁচানো। আর দর্শকদের মিথ্যা হাততালি কুড়ানো। কিন্তু এবার ভারতের কর্নাটকের শিক্ষামন্ত্রী এই দুর্লভ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন।
কনকনে ঠাণ্ডায় লেকের বরফশীতল পানিতে লাফিয়ে পড়ে ছয়জনের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। এর মধ্যে তিন শিশু রয়েছে। এই মন্ত্রীর নাম কিম্মানে রত্নাকর। বয়স ৬১ বছর।
মঙ্গলবার ভোরে কর্নাটক থেকে বেঙ্গালোরে যাচ্ছিলেন কিম্মানে। সকাল ৭ টা নাগাদ তার গাড়িটি বেগুভাল্লির কাছে পৌঁছায়। এসময় ছোৎ করে মন্ত্রীর গাড়িকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় সাদা রংয়ের একটি মারুতি গাড়ি।
এর ঠিক মিনিট পনের পর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে কিম্মানে দেখতে পান ওই গাড়িটি বেগুভাল্লির লেকের বরফশীতল পানিতে পড়ে রয়েছে। জানালা দিয়ে পানি ঢোকায় গাড়িটি আস্তে আস্তে ডুবে যাচ্ছে।
আর শিশুগুলো বাঁচাও বাঁচাও বলে হাত নাড়ছে। এই দৃশ্য দেখে স্থির থাকতে পারেননি শিক্ষামন্ত্রী কিম্মানে। দেহরক্ষী ও নিজ ড্রাইভারসহ পানিতে লাফিয়ে পড়েন। সাঁতরে গাড়িটির কাছ গিয়ে ছয়জনকে উদ্ধার করেন। আহতদের চিকিৎসা ও নাস্তার ব্যবস্থা করেন।
দুর্ঘটনার শিকার গাড়িটির চালক উদয়কে নিজের গায়ের কিছু পোশাক দিয়ে দেন। বেঙ্গালোর সফর আপাতত বাতিল করেন মন্ত্রী।
এ বিষয়ে উদয় বলেন, মন্ত্রী কিম্মানে রত্নাকর আমার পরিবারের নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। শুধু মন্ত্রীর প্রচেষ্টায় আমরা আজ বেঁচে গেলাম।
তিনি আরো বলেন, আমি গাড়ির জানালা খুলে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আর এ সময় গাড়িটি ডুবে যেতে থাকে।
এ বিষয়ে কিম্মানে রত্নাকর বলেন, আমি শিশুদের চিৎকার শুনে বিষয়টি আঁচ করতে পারি। আর তখনই পানিতে ঝাঁপ দেই। আর এ কাজে সহায়তার জন্য আমি আমার দেহরক্ষী ও ড্রাইভারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।