স্টাফ রিপোর্টার, ১১ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের (বিএনএফ) আহ্বায়ক পদ থেকে নাজমুল হুদাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার সেগুনবাগিচার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনএফের আহ্বায়ক কমিটির এক মুলতবি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অধ্যাপিকা জাহানার বেগমকে দলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
রোববার জাহানারা বেগম, সদস্যসচিব আরিফ মাইনুদ্দিন ও প্রধান সমন্বয়কারী এস এম আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নাজমুল হুদা বিএনপিতে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেন,
‘ফ্রন্টে থাকার ব্যাপারে আমার আর সে রকম আগ্রহ নেই। আমার সংসদীয় এলাকার লোকজন চায় আমি বিএনপির সঙ্গে থাকি। আমার পদত্যাগপত্র বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রহণ করেননি। জনগণ যেহেতু চায়, তাদের সেই চাওয়া তো মানতে হবে। এ জন্য নিজ এলাকায় ফ্রন্টের কোনো কার্যক্রম করিনি। বিএনপির নেতা হিসেবেই তাদের সঙ্গে আছি।’
ফ্রন্ট গঠনের ব্যাপারে একটি বিশেষ জায়গার ভূমিকা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে এখন আর কোনো আগ্রহ নেই।’
সভায় দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে নাজমুল হুদাকে আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তার প্রাথমিক সদস্যপদও স্থগিত করা হয়েছে।
নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দুটি তোলা হয়েছে তা হলো- দলের অনুমতি ছাড়া নাজমুল হুদা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আইনের একটি ধারা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছেন। সেখানে রিটকারী হিসেবে বিএনএফের আহ্বায়ক বলে নিজেকে উল্লেখ করেছেন। এতে বিএনএফ সমস্যায় পড়েছে। দ্বিতীয়ত, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর দিন তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলের সভায় তাকে দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নাজমুল হুদা বিএনপির প্রথম স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। সর্বশেষ তিনি ভাইস চেয়ারম্যান হন। শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য তাকে দুবার বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়, দুবারই ফিরিয়ে নেয়া হয়। শেষবার তিনি নিজেই পদত্যাগ করে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করেন।