স্টাফ রিপোর্টার, ১৬ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : চলতি বছরের ফেব্র“য়ারি মাসে জানুয়ারি মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে ফেব্র“য়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। এটি নতুন ভিত্তিবছর ২০০৫-০৬ সালের ভিত্তিতে নির্ণীত। পুরোনো ভিত্তিবছর ১৯৯৫-৯৬ ধরেও ফেব্র“য়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে খাদ্যপণ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে গ্রামে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্য অনুযায়ী মোটা চালের দাম বাড়ার কারণে গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ এতথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিবিএসের মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপমহাপরিচালক মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মোস্তফা কামাল জানান, জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্র“য়ারি মাসে চাল, ডাল, আটা, মাছ, মসলা, তেল, দুধের দাম বেড়েছে। এ কারণে জানুয়ারির চেয়ে ফেব্র“য়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত খাত যেমন পরিধেয় বস্ত্র, আসবাসপত্র, গৃহস্থালীর সামগ্রী, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণ এবং অন্যান্য দ্রব্য ও সেবার মূল্য বাড়ায় মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। গ্রামীণ পর্যায়ে মূল্যস্ফীতির হার বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিসংখ্যান বিভাগের মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল বলেন, মোটা চালের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। সরকার নানা ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ হাতে নেয়া সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতির হার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে। তিনি বলেন, ২০০৫-০৬ ভিত্তিবছর ধরে জানুয়ারি মাসে খাদ্যসূচকে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত সূচকে এ হার ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ১৯৯৫-৯৬ ভিত্তিবছর ধরে ফেব্র“য়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন হিসাবে ফেব্র“য়ারিতে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। জানুয়ারিতে এ হার ৫ দশমিক ০২ শতাংশ ছিল। তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ হয়েছে। জানুয়ারিতে এ হার ছিল ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। পুরনো হিসাবে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি জানুয়ারির ৭ দশমিক ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে ফেব্র“য়ারিতে ৮ দশমিক ৩১ শতাংশ হয়েছে। আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ। আগামী জুন পর্যন্ত নতুন-পুরনো দুই হিসাবেই মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে মোস্তফা কামাল জানান। গত ১৮ জুলাই পরিসংখ্যান ব্যুরোর টেকনিকেল কমিটির সভায় ২০০৫-০৬ ভিত্তি বছরের সিপিআই (ভোক্তার মূল্য সূচক) অনুমোদন দেয়া হয়। সে ভিত্তিতে ২০০৫-০৬ ভিত্তি বছরের পাশাপাশি ১৯৯৫-৯৬ ভিত্তিবছরের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।