ইকবাল মাহমুদ (হিরু), ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ নারী কেলেংকারী, সাধারন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়, মামলা নিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায়, মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানী, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অহেতুক থানায় ধরে এনে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে অর্থ নেবার পাহাড়সম অভিযোগ থাকায় অবশেষে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মশিউর রহমানকে ক্লোজড করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মশিউর কোতয়ালী থানায় যোগদান করার পর থেকেই দোর্দান্ত প্রভাব দেখাতে থাকেন। তার প্রতাবে কোতয়ালী থানার অন্যান্য কর্মকর্তারা বেকায়দার মধ্যে ছিলেন। নানা ঘটনায় নায়ক ওসি মশিউরের কর্মকান্ডে থানা পুলিশের ভাবমূর্তি ছিল শূন্যের কোঠায়। এহেন কোন অপকর্ম নেই যা মশিউর করেনি। নড়াইল জেলার অতি সাধারন ঘরের ছেলে হলেও পুলিশে চাকুরীর সুবাধে সে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনেন। তার বিলাস বহুল দুটি প্রাইভেট কার রয়েছে। মাঝে মধ্যেই তিনি প্রাইভেটকারটি ব্যবহার করতেন নানা অবৈধ কাজে। পুলিশের মধ্যে মশিউরের কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন হলেও কেউ টু শব্দটি করতেও সাহস পেতনা। ঢাকায় স্ত্রী-সন্তানদের রেখে মশিউর নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে পড়েন। একাধিক নারীর সাথে তার সম্পর্ক ছিল বলে গুঞ্জন রয়েছে শহরে। কোতয়ালী থানার মধ্যেও তিনি ফরিদপুরের আলোচিত এক নারীর সাথে গল্প-গুজব করতেন। তাছাড়া মশিউর এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, টাকা ছাড়া তিনি কিছুই বুঝতেন না। প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা কামতেন বিভিন্ন পন্থায়। মশিউরের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে আরো বড় ধরনের অভিযোগের প্রমান পাওয়া যাবে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে। ফরিদপুরে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হোতা ওসি মশিউরের ক্লোজড হবার ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে পুলিশ সদস্যরা।