ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী চায়না বেগমকে (২৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে সোহাগ মোল্যা। বুধবার (০১ আগস্ট) সকালে উপজেলার ফুলসুতি গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধূ চায়না বেগম উপজেলার ফুলসুতি গ্রামের সোহাগ মোল্যার স্ত্রী ও লস্করপুর গ্রামের জালাল মাতুব্বরের মেয়ে।
চায়না বেগমের ভাই নান্নু মাতুব্বর অভিযোগ করেন, মাদকসেবনে বাধা দেয়ায় চায়না বেগমকে স্বামী সোহাগ শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ফুলসুতি গ্রামের মাজেদ মোল্যার ছেলে সোহাগ মোল্যার সঙ্গে লস্করপুর গ্রামের জালাল মাতুব্বরের মেয়ে চায়না বেগমের প্রায় ৬ বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ৪ বছর বয়সের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে এবং চায়না বেগম ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত থাকায় বিয়ের পর থেকেই মাঝেমধ্যেই নেশার টাকা চেয়ে স্ত্রীকে মারপিট করত। মাদকাসক্ত স্বামী সোহাগকে মাদকসেবনে বাধা দিলেও স্ত্রী চায়নাকে মারপিট করত।
চায়নার ভাই নান্নু মাতুব্বর বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সোহাগের বোন কেয়া আক্তার মোবাইল ফোনে আমাদের সংবাদ দেয় যে, চায়না ঘরের দরজা থেকে পড়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়েছে। আমি ও আমাদের পরিবারের লোকজন রাতেই চায়নার স্বামীর বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি চায়নার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।
তিনি বলেন, এ সময় চায়নার শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সদস্যরা লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। আমরা নগরকান্দা থানায় খবর দিলে পুলিশ বুধবার সকালে চায়নার লাশ উদ্ধার করেন।
নগরকান্দা থানার ওসি সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, চায়নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে চায়নার ভাই নান্নু মাতুব্বর বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ফরিদপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।