ইকবাল মাহমুদ (হিরু) ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের বেলেশ্বর মাঝিপাড়ার একটি অসহায় পরিবারের সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে উঠে পড়ে লেগেছ প্রভাবশালী মহল। ঐ মহলটির ধারাবাহিক নির্যাতনের কারনে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছে পরিবারটির সদস্যরা। শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত থাকেনি প্রভাবশালী মহলটি। তারা এ পরিবারের সদস্যদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। প্রাপ্ত অভিযোগ ও স্থানীয়রা জানান, বেলেশ্বর গ্রামের মৃত ভোলানাথ পোদ্দারের বাড়ীর কয়েক শতাংশ জমি দখল নিতে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি জাহাঙ্গীর খা গত কয়েক বছর ধরে উঠে পড়ে লাগে। এরই অংশ হিসাবে জাহাঙ্গীর খা ও তার দলবল একের পর এক নির্যাতন চালায় ভোলানাথের পুত্র নিখিল হালদার, নিলপদ্ম হালদারের পরিবারের উপর। বেশ কয়েক বার হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করা হয় পরিবারের সদস্যদের। জমি দখল নিতে জাহাঙ্গীর ও তার দলবল নিখিল ও নিলপদ্ম হালদারকে গ্রামছাড়া করতে উঠে পড়ে লাগে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাঁটিয়ে এ অসহায় হিন্দু পরিবারের উপর একের পর এক নির্যাতন চালানো হচ্ছে। জমি না দিলে দেশ থেকে বিতারনেরও হুমকি দেয়া হয়েছে। নিখিল হালদার অভিযোগ করে বলেন, আমরা অসহায় একটি পরিবার। মাছ ধরে বাজাওে বিক্রি করে সংসার চালাই। আমাদেও পৈত্রিক ৫ শতাংশ জায়গা দখলে নিতে জাহাঙ্গীর গংয়েরা নানা রকম অত্যাচার নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আমাদের পরিবারটিকে প্রায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। জাহাঙ্গীরের ভয়ে আমরা তেমন একটা বাড়ী থেকে বের হতে পারিনা। আমাদের দু ভাইয়ের পরিবারের উপর কয়েক দফা হামলা চালানো হয়েছে। আমার বৃদ্ধ মা স্বরস্বতি হালদারকেও রেহাই দেয়নি সন্ত্রাসীরা। তাকে বেদম ভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়। আমার ভাইকে বাড়ী থেকে হাত-পা বেঁধে ধরে নিয়ে গিয়ে জাহাঙ্গীরের বাড়ীতে নিয়ে পিটিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ বিষয় নিয়ে একাধিক বার গ্রামে শালিস বৈঠক হলেও জাহাঙ্গীর তা মানেনি। আমরা অসহায় বলে আমাদের উপর জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে। আমাদেও নামে মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানী করা হচ্ছে। সর্বশেষ আমাদেও হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, জমি দখল না দিলে আমাদেও দেশ ছাড়া করা হবে। এ বিষয়ে গাজনা ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, জমি নিয়ে এশাধিক বার শালিস বৈঠক করেছি। কিন্তু জাহাঙ্গীর গংয়েরা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তারা শালিস বৈঠকও মানছেনা। এ ব্যাপাওে জাহাঙ্গীর খা জানান, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির অংশটি সে কিনেছে। এ অংশটি এখন তার নিজের। কিন্তু ভোলানাথ হালদারের পুত্ররা দাবি করছে সেই সম্পত্তি তাদের। আর হামলা-নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে জাহাঙ্গীর বলেন, হামলা-নির্যাতনের ঘঁনা কাল্পনিক ও সাজানো। তাদেও উপর কোন হামলার ঘটনা ঘটানো হয়নি।