ইকবাল মাহমুদ (হিরু), ফরিদপুর প্রতিনিধি, ১৪ মার্চ, বিডিটুডে ২৪ডটকম : ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ফরিদপুর পৌরসভা এখন একটি আধুনিক শহর । জীবিকার তাগিদে এই শহরে অবস্থান করছে নানা রকমের মানুষ। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এখানে এসে জড় হয়েছে খেটে খাওয়া রিক্সা চালক, শ্রমজীবি নারী –পুরুষ। এদের কারো কোন স্থায়ী আবাস স্থল না থাকার কারণে এরা অবস্থান করছে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন সরকারি -বেসরকারি সংস্থার জায়গায়। আবার প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে অনেকে ঠাঁই খুঁজেছেন রেল বিভাগের জায়গাতে। শহরের অন্যান্য মানুষের জীবন ধরণের চেয়ে এদের জীবন যাত্রা অন্য রকম। আবার ভিন্ন গোত্রের, ভিন্ন ভাষার, ভিন্ন পেশার মানুষ দীর্ঘকাল ধরে অবস্থান করছে ফরিদপুরের এই পুরাতন শহরটাতে। শহরের চেহারা পাল্টেছে, মানুষের জীবন যাত্রার মান পাল্টেছে কিন্তু পাল্টেনি এই শহরে বসবাসরত সেই সব মানুষদের যারা অন্যের জায়গায় বা সরকারি জায়গায় মানবেতর জীবন যাপন করছে । এই শহরের বিভিন্ন সরকারি জায়গায় নিয়মিত উচ্ছেদ আতঙ্কে বসবাস করে বিহারী, সুইপার(মেথর), বেদে, জেলে, মালো ও অন্যান্য পেশার নির্দিষ্ট আয়ের মানুষগুলি। তারা যে এলাকায় বাস করে সেই এলাকাকে আমরা বলি বস্তি। এই বস্তির মানুষগুলি কোন না কোন ভাবে আমাদের উপকারে আসে কিন্তু আমরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে কোন কাজ করিনা। এদের জীবন যাপন এতটাই অনিরাপদ এবং অস্বাস্থ্যকর যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না। এই রকম প্রায় ২৪ টি ছোট বড় বস্তি রয়েছে এই শহরটিতে। এই জসগোষ্ঠীর রয়েছে সুপেয় পানির অভাব, পরিবেশসম্মত পয়:নিষ্কাশন অভাব, পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং রয়েছে কর্মমূখী দক্ষতার অভাব। এই বস্তিগুলোতে নেই কোন কমিউনিটি হাউজ, সুন্দর ড্রেনেজ ব্যবস্থা বা কোন ফুট পথ। বর্ষাকাল এলেই এদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিসহ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এই এলাকায় রোগ বালাই সব সময় লেগেই থাকে । এলাকার লোকজন বলেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এই সব এলাকায় কাজ করার কথা বললেও তারা কোন কাজ করেনি। এই ২৪ টি অনুন্নত এলাকার ১১ টিতে ২০০৪-২০০৯ সাল পর্যন্ত পর্যন্ত আইইউডি প্রথম পর্বের আওতায় ইউরোপিয়ান কমিশন ও ষ্টেট অব যার্শি’র আর্থিক এবং প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশের কারিগরী সহায়তায় ফরিদপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু’র আন্তরিকতায় ও পৌরসভার সার্বিক সহযোগীতায় ফরিদপুরের ১৩ টি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (পথকলি সংস্থা, বিএফএফ,রাসিন, শ্যামো, বিএনএফএ,এসডিসি,মউফ,রোয়া,ভাস,ওয়ার্ড,একেকে, ভিএফডাব্লিউএ এবং এসএমএস) নিয়ে গঠিত সোসাইটি ফর দ্যা আরবান পুওর এবং প্র্যাকটিক্যাল ্এ্যাকশন বাংলাদেশের মাধ্যমে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছিল। এই এলাকা গুলো আগে ছিল অস্বাস্থ্যকর, মাদকের আড্ডা আর নানা রকম সামাজিক সমস্যার কেন্দ্রবিন্দু। আজ সেখানে কমিউনিটি হাউজ তৈরি হয়েছে, যেখানে এলাকাবাসী তাদের পারিবারিক অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং নানাবিধ কাজ সম্পাদন করতে পারছে। এই কমিউনিটি ঘরগুলোতে বর্তমানে শিশূ শিক্ষা কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া এলাকার লোকজনের সুন্দর যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয়েছে পাকা রাস্তা, স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা তৈরি করা হয়েছে , ফলে এখন আর ঐ এলাকার লোকজন নদীর ধারে বা ঝুলন্ত পায়খানায় মল ত্যাগ করে না। যে সব এলাকায় ছিল না কোন সুপেয় পানির ব্যবস্থা বর্তমানে সেসব এলাকায় পৌরসভার মাধ্যমে এবং নলকুপ স্থাপনের মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। এলাকার বেকার সমস্যা দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের আয় বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যেই ঐ এলাকার নারী এবং বেকার পুরুষেরা গ্রহণ করে বাড়িতে বসেই আয়ের চেষ্টা করেছে। এলাকা বাসী মনে করেন যে ফরিদপুর পৌরসভা , সোসাইটি ফর দ্যা আরবান পুওর এবং প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশনের আন্তরিক প্রচ
Home | আন্তর্জাতিক | ফরিদপুরের বিভিন্ন অনুন্নত এলাকার ১০ হাজার মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছে।