সুমন কর্মকার, ফকিরহাট ঃ বাগেরহাটের ফকিরহটে গত তিন দিনের অবিরাম প্রবল বৃষ্টির ফলে শত শত পরিবার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী জানান, অত্র অঞ্চলের ভৈরব নদী দীর্ঘদিন যাবৎ খনন না হওয়ায় ও খাল পরিস্কার না থাকার কারনে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে শত শত পরিবার থাকছে পানি বন্দী অবস্থায়। বিভিন্ন রাস্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে পানিতে নিমজ্জিত। এছাড়াও পানের বরজ, সবজির ক্ষেত ও ধানের জমি তলিয়ে গেছে। এতে ব্যপক ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। পাশাপাশি অনেকের পুকুর পানীতে তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। ঘেরে পানি উঠে ডুবু ডুব করছে। এরমধ্যে অনেক ঘের তলিয়ে গেছে। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে যে কোন মুহুর্তে শত শত ঘের তলিয়ে ব্যপক ক্ষতি সাধনের সম্ভবনা রয়েছে বলে স্থানীয় মৎস্য ঘের চাষীরা জানান। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ অবস্থা বিরাজ করছে। বিশেষ করে নিম্নঅঞ্চলে ঘর-বাড়ী, পুকুর, রাস্তা-ঘাট ও ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে, প্রবল বৃষ্টিতে খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। এছাড়াও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন পেশাজীবির চলাচলে ব্যঘাত সৃষ্টি হচ্ছে চরমভাবে। অপরদিকে, প্রবল বর্ষনে ৬গেট ও ১০গেট সহ একটি রাস্তা চরম ঝুকিতে রয়েছে। বৃষ্টির এধারা আরো কিছু দিন চললে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধ ভেঙ্গে জনগনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংখা রয়েছেএদিকে ফকিরহাট সদর সহ আট্টাকা, মানসা, ফলতিতা, ডহরমৌভোগ, পাগলা দিয়াপাড়া, শ্যামনগর, সোনাখালী, শুভদিয়া সরেজমিন কালে দেখা গেছে, এখানকার অনেক ঘরে পানি উঠে গেছে। ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘরের খাটের উপর বসবাস করছে। এলাকাবাসী জানায়, দর্ঘিদিন যাবৎ খালগুলি সংস্কার করা হয়নি। রয়েছে অপরিস্কার ও অপরিছন্ন যে কারনে পানি বের হতে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও ভৈরব নদীতে পানি ধারন ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারনে এমন অবস্থা বিরাজ করছে। অতি শীঘ্রই ভৈরব নদী ও উপজেলার বিভিন্ন খাল পূনঃ খনন বা সংস্কার না হলে ভারী বর্ষন হলেও উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। উপজেলাবাসী পানি নিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।